চট্টগ্রাম -১ আসন (মিরসরাই) াপ্রার্থিতা ফিরে পেলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন, তাঁর সাথে মুল প্রতিদ্বন্ধীতা হবে সাংসদ মোশাররফ হোসেনের পুত্র রুহেলের সঙ্গে।
নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির প্রথম দিনেই প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন গিয়াস উদ্দিন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি। নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার আপিল শুনানি করছেন।
এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েই আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রুহেলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস। অপরদিকে নির্বাচন কমিশন মাঠে স্লোগান দিচ্ছেন তার সমর্থকরা।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর রোববার চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের সইয়ের মধ্যে জাল স্বাক্ষরের অভিযোগে বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মনোনয়নপত্র বৈধতা ফিরে পাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি প্রথম ধাপে ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি চাই ভোটের মাধ্যমে মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক। মিরসরাইবাসীর ভোটের অধিকার নিশ্চিত করলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি এখানকার মানুষের ভালোবাসা এবং তাদের অনুরোধে। আমি বিশ্বাস করি মিরসরাইয়ের আপামর জনসাধারণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।
গিয়াস উদ্দিনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, আমি আশা করছি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন এবং এ নির্বাচনে জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন মিটিংয়ে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে এখনো অফিসিয়ালি আমাদের জানানো হয়নি। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রথমে জেলা রিটানিং কর্মকর্তাকে জানানো হবে।
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে মোট আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল। তার সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে এলাকায় এমন আলোচনা চলে আসছে।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১০টির রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। আর নগর ও নগরসংলগ্ন বাকি ছয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।
আজ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন আপিল শুনে সিদ্ধান্ত দেবে। ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা জানা যাবে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।