হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ৩২টি ভোট কেন্দ্র জোরপূর্বক দখল করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী আরেক প্রার্থী।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার দিকে নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান সংবাদ সম্মেলন করে এ আশংকার কথা জানিয়েছেন।
উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে ওই প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে (নিজ বাসায়) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় ৪১ বছর ধরে আমি সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি। স্কুল ছাত্র অবস্থায় আমি ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছিলাম। ছাত্র রাজনীতির এক পর্যায়ে ১৯৮২ সালে আমি ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম, রাজনৈতিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আমি পরবর্তীতে হাটহাজারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হই। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। তারপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। তাই আমি এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছি আর তাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর এক শ্রেণির উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আমার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছেন। তারা আমাদের নির্বাচনী এলাকার বাইরের বিভিন্ন পেশাদার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীসহ নানান লোকজন কে নির্বাচনের দিন বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জেনেছি। এজন্য তারা চট্টগ্রাম শহরসহ উপজেলার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় গোপন বৈঠক করছে এবং আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করছে বলে আমি বিশ্বস্ত সুত্রে সংবাদও পেয়েছি।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর অনৈতিক সুবিধা প্রদান এবং তাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ ও গোপনে সিল মেরে পাশ করানোর মিশনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে ব্যাপক জাল ভোট প্রদান এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন, অন্যায় ও অবৈধ ভাবে টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় যে কোন প্রকার নির্বাচনী ফলাফল তাদের অনূকূলে নেয়ার জন্য নানান রুপে ষড়যন্ত্র এবং প্রস্তুতিতে লিপ্ত রয়েছে। আর এইসব প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে তাদের এই অভিপ্রায় প্রকাশও করেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত গ্রহন যোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ প্রতিপালন করার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিগত সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বদ্ধীতাকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহাজাহান চৌধুরী, শিকারপুর ইউ পির সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকী, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঝুন্টু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহীদুল আলম চৌধুরী, সুলতানুল আলম চৌধুরী ও মোরশেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব শাহনেওয়াজ চৌধুরী মানিক, শফিকুল আলম হেলাল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর হোসেন চৌধুরী মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট মোস্তফা আনোয়ারুল ইসলাম, সংস্কৃতি সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আলম, সদস্য শেখ খোরশেদুজ্জামান, মুশফিকুর রহমান, লোকমান চৌধুরী, তসলিম হায়দার, সোহরাওয়ার্দী চৌধুরী, মুহিবুর রহমান,হারুনুর রশিদ, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রাসেল প্রমুখ।