রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ধামাইরহাটে যুব উন্নয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামক সিলগালা হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অবশেষে ১৩দিন পর খুলে দেওয়া হলো। তবে প্রতিষ্ঠানটি আর দিতে পারবেনা সরকারি কোন সনদ। এমনকি সরকারি নাম ব্যবহার করবে না এই মর্মে খোলার অনুমতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নাম ব্যবহার ও সরকারি লুগু যুক্ত ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে ১০ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আলাদত। এদিকে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের সামনে সরকার অনুমোদিত যুব উন্নয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সাইনবোর্ডের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ধামাইরহাট কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার।
এই বিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, “যুব উন্নয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” নামক সিলগালা হওয়া প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে আর সরকার ও যুব উন্নয়ন নাম ব্যবহার করতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি লুগুযুক্ত সনদও দিতে পারবে না। তবে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নামে সনদ দিতে পারেন। তিনি যে সনদ দিবেন তা কতটুকু মূল্যায়ন করা হবে এমন প্রশ্নে জানান, বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারি সনদের প্রয়োজন হয়। এই সনদ দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোন সুযোগ সুবিধা পাবেনা। সরকারি নাম ব্যবহার করে এমন অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সবার আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, শর্ত সাপেক্ষে সিলগালা দেওয়া যুব উন্নয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামক প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তারা সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ব্যতিত সনদ প্রদান বা সরকারি কোন কাজ করতে পারবেনা।
উল্লেখ্য, ফারুক আহমেদ নামে এক যুবক দুই বছর আগে ধামাইরহাট বাজারে “যুব উন্নয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সরকার অনুমোদিত বলে এলাকায় প্রচার করেন এবং সাইনবোর্ডেও সরকার অনুমোদিত বলে উল্লেখ করেন। এমন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে সিলগালা করে দেন।