হাটহাজারীতে ইউসুপ নামের এক প্রতিবেশী হত্যার ঘটনায় কামরুল হাসান ও রফিকুল হাসান নামের দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৭ এর সদস্যরা।
সোমবার (১৯ জুন) ও রবিবার নগরের বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত দুজন সম্পর্কে আপন ভাই এবং তারা উপজেলার উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র।
র্যাব জানায়, চার বছর পূর্বে নিহত ইউসুফের সঙ্গে তার প্রতিবেশী কামরুল হাসানের আগে থেকে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সকালে ওই বিরোধের জের ধরে ভিকটিম গরু নিয়ে হাটহাজারী থানাধীন মাছুয়াঘোনা এলাকায় পৌঁছলে পূর্বপরিল্পিতভাবে আসামি কামরুল, তার ভাই রফিকুল এবং কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভিকটিমকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় আসামি কামরুল ছোরা দিয়ে ভিকটিমের দুই হাতের কব্জি এবং দুই পায়ের গোড়ালির রগ কেটে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠালে সেখানে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম ইউসুফের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪জনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের সিনিয়র পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, মামলার পর থেকে আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গোপন সূত্রে জানতে পারে, গত ১৮ জুন উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামি কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করার পর তার দেওয়া তথ্যমতে সোমবার (১৯ জুন) নগরের বাকলিয়া থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরেক আসামি রফিকুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক দুই আসামিকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।