চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে বিএনপি’র ১৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার ও রোববার উপজেলার বিভিন্ন বাড়ি, রাস্তা, বা দোকান থেকে বিএনপি নেত্ কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদেরকে রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মিরসরাই থানায় গ্রেফতারকৃত হলেন ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের উত্তর কচুয়া এলাকার রেজাউল করিম (৪২), তালবাড়িয়া এলাকার মো. ইউনুছ (৩১), পশ্চিম মলিয়াইশ এলাকার ওসানুল হাসান (৩০) ও একই এলাকার নাজমুল হোসেন (২৫)। জোরারগঞ্জ থানায় আটককৃতরা হলেন ১০ নং মিঠানালা এলাকার মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন (৫৫), ৪ নং ধুম ইউনিয়নের মো. মামুন (২৫), ৫ নং ওসমানপুর ইউনিয়নের কামাল উদ্দিন (৬০), মোহাম্মদ জাফর (৫০), নজরুল ইসলাম নাঈম (২৫), ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সাকিল হোসেন সাকিব (২৫), ফারুক হোসেন (৩৫), মো. তারেক হোসেন (৩২), ৮ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (৫০)। বাকি গ্রেফতারকৃতদের নাম পাওয়া যায়নি।
উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক শাহীনুল ইসলাম স্বপন বলেন , সরকার দীর্ঘদিন প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী জোট তথা বিএনপি নেতা কর্মীদের মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রীক আন্দোলন দমিয়ে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যা কোন দিন সম্ভব নয়। মামলা ছাড়াই পুলিশ গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিএনপি নিরীহ সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আটক দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হচ্ছে।
ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের মতো।অচিরেই দেশ রাহুমুক্তি পাবে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, শনিবার রাত থেকে থানার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃত সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং নাশকতা মামলার আসামী। রোববার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার বিএনপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন মামলার আসামী। রোববার তাদের আদালতে প্রেরণ করেছি। যে কোন ধরনের নাশকতা মূলক কর্মকান্ড এড়াতে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।