বিএনপি – জামাতের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে বিএনপি জামাত পুলিশের সংঘর্ষের জের, বিএনপি বাঁধা, গ্রেফতার,কর্মী হত্যার ও পুলিশের নির্যাতনের প্রতিবাদে রবিবার দেশব্যাপী চলছে হরতাল। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিএনপি ও জামায়াত কেন্দ্রীয় কর্মসুচি ডাকে সকাল-সন্ধ্যার হরতালে দেখা যায়নি মীরসরাই বিএনপি জামায়েত কোন নেতাকর্মীকে। সকাল থেকে উপজেলার কোন স্থানে হরতালকারীদের মিছিল, মিটিং, সভা সমাবেশ, পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগারহাট থেকে ধুমঘাট ব্্রীজ পযন্ত ৩৪ কিলোমিটার ঘুরে দেখা যায় দূরপাল্লার কোন যানবাহন চোখে পড়েনি। তবে সর্বত্রে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। হরতালে মানুষ আতঙ্কিত নয়। স্কুল-কলেজ –মাদ্রাসা সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে, মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও জীবন যাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক।
এদিকে মীরসরাই উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আশরাফুল কামাল মিঠুর নেতৃত্বে সকাল ৮টা থেকে বড়দারোগা হাট বাজার থেকে মিঠাছড়া বাজার এলাকা পর্যন্ত হরতাল বিরোধী মোটর সাইকেলে বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মীর শোডাউন এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হরতাল বিরোধী শোডাউনে আরো উপস্থিত ছিলেন নিজামপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম আরিয়ান, মীরসরাই উপজেলা শ্রমিক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সোহেল, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রনিসহ যুবলীগ ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা।
অপরদিকে মীরসরাই উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্্রাহিম খলিল ভুঁইয়া নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সর্তক অবস্থান নিয়েছে। এছাড়াও বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনের নেতৃত্বে বারইয়ারহাট ট্রাফিক মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টারের নেতৃত্বে চৈতন্যহাট বিশ^রোর্ড মাথায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিতিতে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
মীরসরাই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(মীরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মীরসরাই উপজেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা জন্য পুলিশ সর্তক অবস্থানে আছে।