তথ্য ও সম্প্রচার এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “এদেশ সকল সম্প্রদায়ের মিলিত রক্তশ্রুতের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের অস্প্রদায়িক চেতনার একটি দল। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে।”
রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলার উত্তর সাবেক রাঙ্গুনিয়া দীঘিরপাড় রাস বিহারী ধামে পাচদিনব্যাপী রাস মহোৎসবের দ্বিতীয়দিন প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি নটন বিশ্বাস।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর গত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষের এমপি হওয়ার চেষ্টা করেছি। কে কোন দলের কিংবা কোন মতের তা কখনো দেখিনি। গত ১৫ বছরে সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজা খোলা রাখবেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানাই।”
লোককবি বাবুল বিশ্বাস ও অভিজিৎ কুমার দে অভির যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ নির্মল কান্তি চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইদ্রিচ মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা, উত্তরজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন রিয়াজ, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অজিত চৌধুরী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈবাল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সুপায়ন সুশীল, আমেরিকা প্রবাসী অনিল মজুমদার, রাস বিহারীধামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাখাল দাশ গুপ্ত, কার্যকরী সভাপতি বিকাশ চন্দ্র কর, সাধারণ সম্পাদক টিটু সেন, উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেবুব্রত রায় চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক সুমন মজুমদার মুন্না, স্থায়ী সদস্য অশোক বিশ্বাস, গোপাল তালুকদার, কল্যাণ সাহা, বিমল চন্দ্র আকাশ প্রমুখ।
পাঁচদিনব্যাপী রাস মহোৎসবের দ্বিতীয়দিন সকাল থেকে গীতাপাঠ ও ধর্মীয় সংগীত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ, ধর্মীয় সভা, তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞের অধিবাসসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়। এদিন ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেন হাটহাজারী পুণ্ডরীকধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী, মৃদুল কান্তি রুদ্র প্রমুখ। পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে লক্ষাধিক সনাতনী সম্প্রদায়ের সমাগম হয়। তাদের খাবারের আয়োজন করেন আয়োজকরা।