চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফাতেমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ৫নং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফাতেমা বেগম ওই এলাকার রাজমিস্ত্রী রবিউল হোসেনের স্ত্রী। এবং ২ নং ওয়ার্ড উত্তর মাহমুদাবাদ রকিঅত উল্লাহ সারাং বাড়ির মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সে সবার ছোট বলে জানা যায়।
নিহতের স্বামী রবিউল হোসেন বলেন, আট মাস হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কিছু দিন যাওয়া পর ফাতেমার আচরণে বুঝতে পারি সে মানষিক ভাবে অসুস্থ।
বিয়ের সময় রোগের কথা তারা গোপন রেখেছিলেন। এ বিষয়ে গত দুই মাস আগে আমার শ্বশুর বাড়ি এলাকায় শালিসি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমি ফাতেমার সাথে সংসার করতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আর কিছু দিন দেখতে বলেন এবং চিকিৎসা করাতে বলেন। আজ দেড়মাস যাবত তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আজ সকাল আটটার সময় আমি কাজে চলে যাই। তখন সে স্বাভাবিক ছিলো, এবং গতকাল আমার মায়ের সাথে এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে দাওয়াতও খেয়ে এসেছে। কেন সে এমন করলো বুঝতে পারছি না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সে কোন কিছু ভাংচুর বা অস্বাভাবিক আচরণ করতোনা, শুধু অলসের মতো সময় অসময়ে শুয়ে থাকতো। সবসময় চুপচাপ থাকতো, নিজে থেকে তেমন কথা বলতো না।
২নং মাহমুদাবাদ ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান রবিন মুঠোফোনে জানান, নিহতের স্বামী অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতেন না এবং গোসল করতে গেলে দীর্ঘ সময় পানিতে থাকতেন, তাই তার কাছে মনে হয়েছে সে মানষিক ভাবে অসুস্থ। গত দুই মাস আগে সামাজিক ভাবে বসে ফাতেমার চিকিৎসা করাতে বলি এবং সুস্থ না হলে প্রয়োজনে আমরা আবার বসবো বলে সীদ্ধান্ত গ্রহন করি। তবে উভয় পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় ছিলো।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই খুরশিদ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে দরজা লাগানো। দরজা কেটে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেকে পাঠিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে আত্মহত্যা, বাকিটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে বলা যাবে।