হাটহাজারীতে নাজমা আকতার মিরা (২২) নামের এক সন্তানের মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডস্থ ফজল হক মেম্বার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আত্নহননকারী এক সন্তানের জননী মিরা ওই এলাকার নির্মাণ শ্রমিক ইসমাইলের স্ত্রী। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি গতকাল তারা শশুড়-শাশুড়ীসহ ঈদ উপলক্ষে তাদের এক আত্নীয়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসেছিলো। সকালে প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে চা নাস্তা খেযে পারিবারিক কাজকর্ম করছিলো মিরা। পরে মিরা তার এক বছর বয়সী শিশু সন্তানকে খাবার খাইয়ে শাশুড়ীর কোলে রাখতে দিয়ে কাপড় ধোঁয়ার জন্য যান। সেখান থেকে এসে ঘরে ঢুকার দীর্ঘক্ষণ পরও তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ডাকাডাকির পর ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। এক পর্যায়ে আশেপাশের লোকজন এসে ওই দরজা ভেঙ্গে বসত ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মিরাকে দেখতে পেয়ে তড়িৎ ওড়না কেটে নিচে নামিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। এদিকে আত্নহননকারী মিরার মামা রাশেদ সন্ধ্যার দিকে জানান, গতকাল এবং ঘটনার আগেও পরিবারের সবার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো আমার ভাগনির। আমার জানা মতে কখনও তাদের সংসারে কোনো অশান্তি হয়নি। গতকালও তারা সকলে মিলে বেড়াতে গিয়েছিলো। হঠাৎ কিভাবে কি কেনো হলো কিছুই বুঝতেছিনা।
আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসলে কেনো কিভাবে কি হয়েছে তা জানতে পারবো। ময়নাতদন্ত শেষ করে লাশ মিরার শশুর বাড়িতে নিযে যাচ্ছি। সেখানে জানাযা নামাজের পর তাদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
মির্জাপুর ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদক কে জানান, খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ কে ঘটনা জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি রুহুর আমিন সবুজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ময়না তদন্তের শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
 
																			 মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারী
																মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারী								 









