হাটহাজারীতে পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাটের অপরাধে মিজানুর রহমান ও জামশেদ নামের দুই ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শাহিদুল আলম।
বুধবার (২৪ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র এ তথ্য গণমাধ্যম কে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে
উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের ০৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিক্তিতে জানতে পেরে উল্লেখিত স্থানে গিয়ে সংবাদের সত্যতা পান।রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় বুড়িশ্চর মৌজার ১১৬৬৬ নম্বর দাগস্থিত ভূমির শ্রেণি পুকুর যা বর্তমানেও পুকুর হিসেবেই আছে। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে ৬৪ শতকের এই পুকুরটির অংশবিশেষ ভরাট অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে
অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের ০৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো.মুজিবুর রহমানের পুত্র অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ও জামশেদ দুইজনকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী দুই লাখ টাকা জরিমানা করে তা ডিসিআরের মাধ্যমে আদায় করা হয় এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে দন্ডপ্রাপ্তদের নিজ খরচে ভরাটকৃত পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট মুচলেকা দেন। অভিযান পরিচালনার সময় বুড়িশ্চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন,স্থানীয় মানুষজন এবং হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম সাথে থেকে সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.শাহিদুল আলম এ প্রতিবেদক কে জানান, “পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুর বা জলাধার খুবই গুরুত্বপূর্ণ! এছাড়া অগ্নিকান্ড ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পানির উৎস হিসেবে জলাধার সংরক্ষণ জরুরি। হাটহাজারীতে আইন অমান্য করে কেউ জলাশয় ভরাট করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা জরুরি। এছাড়াও “পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে যেকোন কাজের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক স্যারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। বিশেষ করে জলাধার ভরাট,পাহাড় কাটা ও কৃষি জমির টপসয়েল কর্তন। আর উপজেলা প্রশাসন হাটহাজারী এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারী 



















