চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীতে হঠাৎ করে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমের কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও জানা গেছে। যার ফলে হাটহাজারীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, অসহনীয় গরমের কারনে পানি শূন্যতা ও ভাইরাস জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু রোগী। গত এক সপ্তাহ ধরে পৌর সদরের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০-৭০ জনের বেশি অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৬০ থেকে ৬৫ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এখানে। যাদের মধ্যে ২৪ জনই ছিলো ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগী। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আসা গুরুতর অসুস্থ রোগী রাখী আক্তার (১৫) কে হাসপাতালে সীট খালি না থাকায় ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, এই গরমে সর্দি কাশির সঙ্গে কারো শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় হিট স্ট্রোক, ব্রংকিওলাইটিস হতে পারে। শিশুদের নিউমোনিয়াও হতে পারে। এ ছাড়া ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, পানিশূন্যতা, শ্রমজীবীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। বাইরে কাজ করতে গিয়ে কারও হঠাৎ বমি হলে দ্রুত প্রেশার বেড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীরাও হাসপাতালে আসছেন। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের দ্রুত ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। আর যাদের অবস্থা গুরুতর নয়, তাদের চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সোহানিয়া আক্তার বিল্লাহ বলেন, গত কয়েকদিন থেকে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। গরমে ডাবের পানি ও ওরস্যালাইন বেশ কাজ দেয়। এমন গরমে হালকা রঙের সুতি জামাকাপড় পড়া উচিৎ আর ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা এবং বাইরে থেকে ঘরে ফিরে শরীর বাতাসে জুড়িয়ে নিয়ে গোসল করা প্রয়োজন। এছাড়া এই গরমে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।