হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইউনুচ গণি কে প্রতিহত করতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। পরে পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কলেজ গেইট এলাকায় তারা এ অবস্থান নেয। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও স্থানীয় সাধারণ জনতা অংশ গ্রহন করেন।
জানা গেছে, সৈরাচার সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ উপায়ে জনপ্রতিনিধি হয়ে যাওয়া আ.লীগের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দেয়। এদিকে সরকার পতনের নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে গা ঢাকা দেয়া অবৈধ চেয়ারম্যানদের কেউ কেউ পরিষদে ফিরতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
ঘটনারদিন রবিবার বিএনপিকর্মী ও স্থানীয় জনতা গোপন সংবাদের ভিক্তিতে জানতে পারে যে আজ উপজেলা পরিষদের অবৈধ চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা ইউনুচ গণি চৌধুরী পুনরায় অফিস করতে পরিষদে আসবেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মী ছাড়াও স্থানীয় জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হতে থাকে। তাদের অংশগ্রহণে একটি প্রতিরোধ মিছিল বের করে সড়কের প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে।
পরে পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন,অবৈধ সরকারের বিনা ভোটের সাজানো নির্বাচনের অবৈধ চেয়ারম্যানের স্থান এ পরিষদে হবে না। যেখানে তাদের নেত্রী পাখির মতো ছাত্র জনতাকে হত্যারকারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে, সেখানে তার অনুসারী অবৈধ চেয়ারম্যান আবারো এসে পরিষদে বসবেন এমন চিন্তা করা মানে বোকার স্বর্গে বাস করা।বছরের পর বছর এই আ.লীগ সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় দখল করে রাখার জন্য বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলের নেতাকর্মীদের উপর যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তা আমরা কখনই ভুলে যেতে পারবো না।
ওই খুনি হাসিনার কোনো ধুসর এই হাটহাজারীর উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়নে দেখতে চাইনা। আপনারা যেখানে তাদের দেখবেন আমাদের খবর দিবেন, আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।”
এসময় পৌরসভা বিনপির আহবায়ক উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব জাকির হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মেখলের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন, পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এমএ শুক্কুর মেম্বার, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবদুল মান্নান দৌলত সহ বহু নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন সকালে তথাকথিত অবৈধভাবে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ বাতিলের দাবিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের সম্মানিত উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা এস এম ফজলুল হকের নির্দেশে তার অনুসারী উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা পরিষদের সম্মুখে অবস্থান নেয়।
অপরদিকে একইদিন সকালের দিকে উপজেলায় ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন খান ও প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন অফিস করার সময় কিছু দুর্বৃত্ত তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। পরিষদ চেয়ারম্যান আকতার হোসেন খান তাদের উপর দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনা গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার ৮নং মেখল ইউনিয়ন পরিষদ গেইটেও বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতা পরিষদ চেয়ারম্যান (নৌকা মার্কা) সালাউদ্দিন চৌধুরী কে প্রতিরোধ করতে ইউনিয়ন পরিষদ গেইটে অবস্থান নিয়েছিলো।