চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার হরিশপুর ইউনিয়নের নাজির সাঁকো এলাকায় ক্ষুদ্র জেলে সম্প্রদায়ের আয়োজনে এবং এসডিআই ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পরিচালিত “ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (CCR)” প্রকল্পের সহায়তায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন , প্রান্তিক জেলে দলের সভাপতি রমনীমোহন জলদাস এবং সঞ্চালনা করেন কমিউনিটি মোবিলাইজার, সিসিআর প্রকল্প – বাদল রায় স্বাধীন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকের হোসেন বিপুলজাসাস নেতা,মাস্টার আকবর হোসেন সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ইলিয়াস কামাল বাবু, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সন্দ্বীপ শাখার সভাপতি ইলিয়াছ সুমন, এসডিআই সমন্বয়কারী, সমৃদ্ধি প্রকল্প,সিরাজুদ্দৌলা,মনিটরিং ও ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা স্মার্ট প্রকল্প – এনায়েত উল্ল্যাহ,প্রান্তিক জেলে দল নেতা দুলাল সেরাং, পরিমল সেরাং,প্রান্তিক জেলে বাদল জলদাস,সদস্য, প্রান্তিক জেলে দল সদস্য, কৃষ্ণ জলদাস,নারী প্রতিনিধি – শচীরানী,নারী প্রতিনিধি জুলেখা বেগম, সিএসও লিডার – শাহাদাৎ হোসেন,কমিউনিটি প্রতিনিধি ফাহিমা বেগম, বক্তারা বলেন, অভিযান শুরুর পর মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয়, কিন্তু চাল আসে অনেক দেরিতে। তাই অভিযান শুরুর আগেই সরকারি চাল বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। তারা জানান, সন্দ্বীপে মাত্র ৭ হাজার জেলে নিবন্ধিত, অথচ প্রকৃত জেলে প্রায় ১৬–১৮ হাজার, যারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। এজন্য ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরি ও বাদ পড়া জেলেদের দ্রুত নিবন্ধনের দাবি জানানো হয়।বক্তারা আরও বলেন—একই ব্যক্তি একাধিক কার্ড পেলেও প্রকৃত দরিদ্র জেলেরা কার্ড পান না। কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা, কার্ড হস্তান্তর এবং গুদাম ভাড়া বা পরিবহন খরচের নামে অর্থ নেওয়া বন্ধ করার দাবি উঠে আসে।অভিযান শুরুর আগেই চাল বিতরণ অনিবন্ধিত ১৬ হাজার জেলের দ্রুত নিবন্ধন,ত্রুটিমুক্ত ও হালনাগাদ তালিকা প্রণয়ন, প্রকৃত জেলেদের হাতে কার্ড হস্তান্তর,প্রতি পরিবারে ৮–১০ হাজার টাকা নগদ ভাতা,জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান,স্বল্পসুদে ঋণ ও অনুদান চালু,এক জেলে = এক কার্ড; ভাগাভাগি নয়, নেতারা আর ও বলেন—> “অভিযান শুরুর আগেই চাল দিতে হবে এবং বাদ পড়া জেলেদের দ্রুত নিবন্ধন করে সবার হাতে কার্ড পৌঁছাতে হবে।”