হাটহাজারী মাদ্রাসায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সারজিস আলমসহ নেতৃবৃন্দরা দারুল উলুম মইনুল ইসলাম প্রকাশ হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিদর্শন এবং প্রয়াত মুরুব্বিদের কবর জেয়ারত করেছেন।
রবিবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে দশটার দিকে তারা হাটহাজারী মাদরাসায় পৌঁছে মাদ্রাসার সিনিয়র মুফতি ও মুহাদ্দিস এবং হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং মাদ্রাসার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।এসময় হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফ আলী নিজামপুরী, এসিপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দেরা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম উপস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুর্থানে আপনাদের যে অংশগ্রহণ ছিলো, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, জালেম সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছিলেন সেটার জন্য আপনাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে আমি আজকে এখানে এসেছি। আমরা জানি গত ফ্যাসিবাদি সরকারের আমলে আলেম সমাজ বার বার নির্যাতিত হয়েছে,আমরা ২০১৩ সালে শাপলা হত্যাকান্ডের কথা জানি,গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিলো, তারপরও আলেম সমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা কখনো তাদের প্রতিবাদ থামায়নি। আলেম সমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান কখনো সম্ভব হতোনা।আপনাদের এ আত্নত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসে যুগ যুগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আলেম সমাজ এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা ব্যতিত এ দেশের কোনো ধরনের জাতীয় সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবেনা।”
পরে তারা হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব (সাবেক) শাইখুল ইসলাম মরহুম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ.মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী রহ. সহ সকল মুরুব্বিদের কবর জিয়ারত করেন।
এর আগে দুপুরের দিকে তারা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে এবং বিকালের দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সমাবেশে যোগ দেন।