চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার হরিশপুর ইউনিয়নের সন্তান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, রাজনীতিক ও উদ্যোক্তা মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফা খোকন সম্প্রতি মানবতার সেবায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন।
সম্প্রতি তিনি গুপ্তছড়া–কুমিরা নৌরুটে লাশ ও গর্ভবতী নারী পারাপারের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক স্পিডবোট উপহার দেন। স্পিডবোটটিতে ছাদ, আরামদায়ক আসন ও ওয়াশরুমের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষভাবে প্রশংসনীয় বিষয় হলো—রোগী পারাপারের সম্পূর্ণ খরচও তিনি নিজেই বহন করছেন, যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার টাকার পেট্রোল ব্যয় হয়। কয়েকদিন আগে তিনি আরও ৪০ লাখ টাকার একটি স্পিডবোট যুক্ত করেছেন। জানুয়ারিতে যুক্ত হবে আরও পাঁচটি নতুন স্পিডবোট। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে তিনি একটি ভাসমান জেটি নির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছেন।
রাজনীতিতেও তাঁর রয়েছে সক্রিয় ভূমিকা। তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে উত্তর জেলা ও সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়নও পান। প্রবাসীদের ভোটাধিকারের আন্দোলনেও তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে তাঁর অবদান অনন্য। নিজ অর্থায়নে ২০০টিরও বেশি মসজিদ, বহু বিদ্যালয় ও কলেজ ভবন, এবং অসহায় পরিবারের ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। সহায়তা করেছেন সন্দ্বীপ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দক্ষিণ সন্দ্বীপ কলেজ, কাঠগড় উচ্চ বিদ্যালয়সহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুদান প্রদান, ইমাম–মুয়াজ্জিনদের মাসিক ভাতা, কোভিডকালে ২৫ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা, নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ ও মেশিন বিতরণ, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা—সব মিলিয়ে তিনি মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত তাঁর এনআরবি গ্রুপ বর্তমানে প্রায় ৪০০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার মানুষের জীবন–জীবিকায় অবদান রাখছে। সন্দ্বীপে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তিনি নিজ অর্থে ঘর নির্মাণ করেছেন। তাঁর ১০ কোটি টাকার বাণিজ্যিক ভবনের আয় থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয় শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে।
সন্দ্বীপের সাধারণ মানুষ আজ তাঁকে ভালোবেসে ডাকেন
‘দানবীর নুরুল মোস্তফা খোকন’, একজন সত্যিকারের উন্নয়ন ও মানবতার প্রতীক।
সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 


















