চট্টগ্রাম 10:17 pm, Thursday, 10 July 2025

এ. বি. ক্রুশের কবিতা: ছয় যখন চারশত পঁয়ত্রিশ

আন্দোলনে জ্বলন্ত ছাত্র

জ্বলছে গীরির ন্যায়,

পুলিশ তা দেয় যে বাধা
বাঁচায় ছাত্রদের কে?

শুরুতেই ছাত্রলীগ
নামল হাতে কাঠের সীক ,
তবু বাঁধা মানে কার
সহ্যনীয় কষ্ট ছাত্র জনতার।

প্রথমেতে ষোলই জুলাই
ছয় সন্তানের মাথায় হাত বুলাই।
আবু সাঈদের সাহসীকতায়,
জ্বলন্ত আগুন আরো জ্বালাই।

আঠারোতে বেয়াল্লিশ,
বাড়লো উনিশে চুয়াল্লিশ,
সেদিন ছিল জুমাবার,
আটত্রিশে নামলো শনিবার।

রোবে একুশ, বাইশে পাঁচ,
বাড়ছে সাগরে জ্বলোচ্ছ্বাস।
রাজপথে জ্যান্ত লাশ,
সভ্য অপরাধীদের বাড়ছে শ্বাস।

সপ্তাহ পরে দাঁড়ালো দুই,
চারের মুখ খানি পরের দিন দুই।
শহিদের দিকে ঘুড়লো সুঁই
পাঁচ শহীদের বীজ রুঁই।

ছাব্বিশে জুলাই শুক্র,
রাজপথ এখন রুক্ষ,
এক এক করে যাচ্ছে দিন-
আগস্টের পহেলাতে গিয়ে ঠেকল।

পরের দিন দুই,
মরণ যন্ত্রণাকে ছুঁই।
আন্দোলন আরো বেগবান করতে-
সুরভিত হলো জুঁই।

তিনে নামলো এক
ছাত্ররা এসে দেখ,
এক দফার ধূসর মেঘে
আতঙ্কে আছে শেখ।

চারি আগষ্ট একদিনে,
শহীদী তালিকা শত পেড়িয়ে,
এক এক যাচ্ছে এগিয়ে,
পা বাড়ালো চতুর্দশে।

ক্ষুব্দ নগর, বিক্ষোপ্ত দেশ,
মরবে আশা করবে শেষ,
ছাত্র জনতা জ্বলবে বেশ,
জ্বালাবে আগুন, পুড়বে দেশ।

পাঁচই আগষ্ট কমলো দশ,
ছাত্ররা করলো জনগণ বংশ।
দেশের মাটি – দশের তলায়-
দেশ ত্যাগ করে স্বৈরাচার পালায়।

নামলে ছাত্র আন্দোলনে
রেকড গড়বে সনে সনে,
চিনোবে অধিকার প্রতিজনে
বাঁধাদান কারী পালাবে অরন্যে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

এ. বি. ক্রুশের কবিতা: ছয় যখন চারশত পঁয়ত্রিশ

Update Time : 05:54:06 pm, Saturday, 26 October 2024

আন্দোলনে জ্বলন্ত ছাত্র

জ্বলছে গীরির ন্যায়,

পুলিশ তা দেয় যে বাধা
বাঁচায় ছাত্রদের কে?

শুরুতেই ছাত্রলীগ
নামল হাতে কাঠের সীক ,
তবু বাঁধা মানে কার
সহ্যনীয় কষ্ট ছাত্র জনতার।

প্রথমেতে ষোলই জুলাই
ছয় সন্তানের মাথায় হাত বুলাই।
আবু সাঈদের সাহসীকতায়,
জ্বলন্ত আগুন আরো জ্বালাই।

আঠারোতে বেয়াল্লিশ,
বাড়লো উনিশে চুয়াল্লিশ,
সেদিন ছিল জুমাবার,
আটত্রিশে নামলো শনিবার।

রোবে একুশ, বাইশে পাঁচ,
বাড়ছে সাগরে জ্বলোচ্ছ্বাস।
রাজপথে জ্যান্ত লাশ,
সভ্য অপরাধীদের বাড়ছে শ্বাস।

সপ্তাহ পরে দাঁড়ালো দুই,
চারের মুখ খানি পরের দিন দুই।
শহিদের দিকে ঘুড়লো সুঁই
পাঁচ শহীদের বীজ রুঁই।

ছাব্বিশে জুলাই শুক্র,
রাজপথ এখন রুক্ষ,
এক এক করে যাচ্ছে দিন-
আগস্টের পহেলাতে গিয়ে ঠেকল।

পরের দিন দুই,
মরণ যন্ত্রণাকে ছুঁই।
আন্দোলন আরো বেগবান করতে-
সুরভিত হলো জুঁই।

তিনে নামলো এক
ছাত্ররা এসে দেখ,
এক দফার ধূসর মেঘে
আতঙ্কে আছে শেখ।

চারি আগষ্ট একদিনে,
শহীদী তালিকা শত পেড়িয়ে,
এক এক যাচ্ছে এগিয়ে,
পা বাড়ালো চতুর্দশে।

ক্ষুব্দ নগর, বিক্ষোপ্ত দেশ,
মরবে আশা করবে শেষ,
ছাত্র জনতা জ্বলবে বেশ,
জ্বালাবে আগুন, পুড়বে দেশ।

পাঁচই আগষ্ট কমলো দশ,
ছাত্ররা করলো জনগণ বংশ।
দেশের মাটি – দশের তলায়-
দেশ ত্যাগ করে স্বৈরাচার পালায়।

নামলে ছাত্র আন্দোলনে
রেকড গড়বে সনে সনে,
চিনোবে অধিকার প্রতিজনে
বাঁধাদান কারী পালাবে অরন্যে।