রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একের পর এক চুরির ঘটনায় দেখা দিয়েছে আতংক। সর্বশেষ গত দুর্গাপূজার বন্ধের মধ্যে বিদ্যালয়টির শ্রেণীকক্ষের দরজা ভেঙে দুইটি মূল্যবান বৈদ্যুতিক পাখা চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। স্কুল বন্ধের পর দরজা ভাঙা অবস্থায় চুরির ঘটনা দেখতে পেয়ে কাপ্তাই থানায় জিডি করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন গুলো অনেক পুরাতন হওয়াতে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দরজা, জানালা গুলো নড়বড়ে হওয়ায় প্রায়সময় বিদ্যালয়টিতে ঘটছে চুরির ঘটনা। এর আগে ও একাধিকবার বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। এনিয়ে তিনি একাধিক বার উর্ধতন কতৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে বারবার চুরির ঘটনা ঘটতে থাকায় বিদ্যালয় জুড়ে দেখা দিয়েছে আতংক। বিদ্যালয়টিকে একজন নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হলে এবং বিদ্যালয়টির ভবন গুলো পুননির্মাণ করা হলে চুরি ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে কথা হলে চন্দ্রঘোনা বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং বলেন, ইতোপূর্বে বিদ্যালয়টিতে একজন নৈশ প্রহরী ছিলো তবে অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে সন্ধার পরে বিদ্যালয়টি আশেপাশে নীরব নিস্তব্ধ স্থানে মাদকসেবিদের আড্ডা বসে। তারাই ওখানে এসব চুরির ঘটনায় লিপ্ত হয়। বিদ্যালয়টির অনেক মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিচ্ছে চোরেরা। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হলেও চুরির ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছেনা। এনিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে পুনরায় আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাই কিসলু জানান, বিদ্যালয়টির চুরির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি 



















