চট্টগ্রাম 3:17 am, Sunday, 6 July 2025

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে মানবিক মেহেরুন শান্তা’র ‘আমার উদ্যোগ’

বইছে শৈত্য প্রবাহ। শীতে কাঁপছে দেশ। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। অসহায় দরিদ্র মানুষ বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ত্রিপুরা পাড়ার,ছীন্নমূল পরিবারের ভোগান্তির শেষ নেই। ঠিক এমন সময়ে ইংরেজি নববর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও অসহায় পরিবারের মাঝে ” আমার উদ্যোগ” এর ব্যানারে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন মানবিক নারী উদ্যোক্তা মেহেরুন শান্তা৷

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড়ের ডালে বসবাসরত ত্রিপুরাদের মাঝে গত বছরের ন্যায় এবছরও ১জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ১১ টায় এই শীত বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড তথা দেশের সাহিত্য জগতের আলোচিত মুখ কবি ও সাহিত্যিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, আরও উপস্থিত ছিলেন তরুণ কবি বাসুদেব নাথ প্রমুখ৷ এ সময় সীতাকুণ্ড ত্রিপুরা পাড়ায় ৫০ জনের মাঝে শীতের চাদর বিতরণ করা হয়৷

উদ্যোক্তা মেহেরুন শান্তা বলেন, ২০২৩ এর পথচলা শুরু হলো আজ। তবে শুরু হোক নতুন বছর মানবিক কাজের মধ্যে দিয়ে। আমার উদ্যোগে সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় শীতার্তদের গায়ে চাদর তুলে দিতে পেরেছি আমি আলহামদুলিল্লাহ। ”আমার উদ্যোগ” সফল করতে আপনারা যারা আর্থিক সহযোগিতা এবং শারিরীক শ্রম দিয়েছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। আমার এসব ছোটখাটো কাজের মধ্যে দিয়েই আমি আপনাদের সকলের মধ্যমনি হয়ে থাকতে চাই। সবাই আমাকে দোয়া’য় রাখবেন। ইনশাআল্লাহ, আমার সাধ্য এবং সামর্থ্যানুযায়ী ভবিষ্যৎ এ আরো বেশি সংখ্যক মানুষের পাশে দাড়ানোর প্রত্যাশা রাখি আমি। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা সহ ভালোবাসা।

কবি বাসুদেব নাথ বলেন, আমার বোন শান্তাকে আমি আগেও দেখেছি বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে।এরকম একক উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে ইচ্ছা ও একাগ্রতা তা অন্যান্য মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। তার এসব মানবিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা সবসময় চলতে থাকবে এই আশা রাখি৷

কবি ও সাহিত্যিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য বলেন,আমি আগেও একটা গ্রুপ নিয়ে এসেছিলাম সামান্য কিছু করতে তাদের জন্য। তারা পাহাড়ের মানুষ, এখানেই জন্ম, বেড়ে ওঠা বিয়ে সংসার মৃত্যু পর্যন্ত একই চক্রে আবর্তিত হয়। তারা আমাদের বারো রকম প্রজাপতি। আলোর ডানায় মাতিয়ে রাখে পাহাড়। আজ মানবিক কন্যা মেহরুন শান্তা আমাদের নিয়ে এসেছেন কিছু শীতার্ত শিশুদের চাদর দেয়ার জন্য। সবাইকে আবার একসাথে পেয়ে অনেক আনন্দ হলো। এসব নৃগোষ্ঠীর এখনো নানা রকম মৌলিক সমস্যা রয়ে গেছে। এসব সমস্যা নির্ধারণ করে তাদের জন্য মানবিক ভাবে করা যায় কিনা আমাদের ভাবতে হবে। অভিনন্দন শুভকামনা রইলো সবার জন্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় আরাফাত রহমান খোকো মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এসপিআর স্পোর্টিং ক্লাব

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে মানবিক মেহেরুন শান্তা’র ‘আমার উদ্যোগ’

Update Time : 12:31:47 am, Monday, 2 January 2023

বইছে শৈত্য প্রবাহ। শীতে কাঁপছে দেশ। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। অসহায় দরিদ্র মানুষ বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ত্রিপুরা পাড়ার,ছীন্নমূল পরিবারের ভোগান্তির শেষ নেই। ঠিক এমন সময়ে ইংরেজি নববর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও অসহায় পরিবারের মাঝে ” আমার উদ্যোগ” এর ব্যানারে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন মানবিক নারী উদ্যোক্তা মেহেরুন শান্তা৷

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড়ের ডালে বসবাসরত ত্রিপুরাদের মাঝে গত বছরের ন্যায় এবছরও ১জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ১১ টায় এই শীত বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড তথা দেশের সাহিত্য জগতের আলোচিত মুখ কবি ও সাহিত্যিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, আরও উপস্থিত ছিলেন তরুণ কবি বাসুদেব নাথ প্রমুখ৷ এ সময় সীতাকুণ্ড ত্রিপুরা পাড়ায় ৫০ জনের মাঝে শীতের চাদর বিতরণ করা হয়৷

উদ্যোক্তা মেহেরুন শান্তা বলেন, ২০২৩ এর পথচলা শুরু হলো আজ। তবে শুরু হোক নতুন বছর মানবিক কাজের মধ্যে দিয়ে। আমার উদ্যোগে সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় শীতার্তদের গায়ে চাদর তুলে দিতে পেরেছি আমি আলহামদুলিল্লাহ। ”আমার উদ্যোগ” সফল করতে আপনারা যারা আর্থিক সহযোগিতা এবং শারিরীক শ্রম দিয়েছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। আমার এসব ছোটখাটো কাজের মধ্যে দিয়েই আমি আপনাদের সকলের মধ্যমনি হয়ে থাকতে চাই। সবাই আমাকে দোয়া’য় রাখবেন। ইনশাআল্লাহ, আমার সাধ্য এবং সামর্থ্যানুযায়ী ভবিষ্যৎ এ আরো বেশি সংখ্যক মানুষের পাশে দাড়ানোর প্রত্যাশা রাখি আমি। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা সহ ভালোবাসা।

কবি বাসুদেব নাথ বলেন, আমার বোন শান্তাকে আমি আগেও দেখেছি বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে।এরকম একক উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে ইচ্ছা ও একাগ্রতা তা অন্যান্য মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। তার এসব মানবিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা সবসময় চলতে থাকবে এই আশা রাখি৷

কবি ও সাহিত্যিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য বলেন,আমি আগেও একটা গ্রুপ নিয়ে এসেছিলাম সামান্য কিছু করতে তাদের জন্য। তারা পাহাড়ের মানুষ, এখানেই জন্ম, বেড়ে ওঠা বিয়ে সংসার মৃত্যু পর্যন্ত একই চক্রে আবর্তিত হয়। তারা আমাদের বারো রকম প্রজাপতি। আলোর ডানায় মাতিয়ে রাখে পাহাড়। আজ মানবিক কন্যা মেহরুন শান্তা আমাদের নিয়ে এসেছেন কিছু শীতার্ত শিশুদের চাদর দেয়ার জন্য। সবাইকে আবার একসাথে পেয়ে অনেক আনন্দ হলো। এসব নৃগোষ্ঠীর এখনো নানা রকম মৌলিক সমস্যা রয়ে গেছে। এসব সমস্যা নির্ধারণ করে তাদের জন্য মানবিক ভাবে করা যায় কিনা আমাদের ভাবতে হবে। অভিনন্দন শুভকামনা রইলো সবার জন্য।