চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় চবি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ছাত্র মাহবুবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালের দিকে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে ছাড়িয়ে আনতে যাওয়ার সময় চবি শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর তারা এ হামলা চালায়।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষিত ষোল শহর রেল স্টেশনের আজকের কোটা বিরোধী কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় শাটল ট্রেন থেকে আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে প্রক্টর অফিসে আটকে রাখেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের কর্মীরা চবি থেকে শহরগামী শাটল ট্রেনের চাবিও ছিনিয়ে নেন। পরে আন্দোলনকারীরা রাফি কে ছাড়িয়ে আনতে যাওয়ার পথে বিকাল প্রায় ৪ টার দিকে শহীদ মিনার এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত আহত হয়। পরে প্রক্টর অফিসের সমানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আবারও অবস্থান নেয়। পরে চবি প্রক্টর নিজে তার অফিস থেকে আন্দোলনকারী ছাত্রীদের হলে পৌঁছে দেন। এ সময় প্রক্টরের পেছনে ছাত্রলীগের কর্মীদের জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, আমি বাঙ্গালী আমি বাঙালিসহ বিভিন্ন স্লোগানসহকারে আসতে দেখা গেছে।
শাটল ট্রেনের চাবি নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ষোলশহর রেল স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকর্মীদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একদল শিক্ষার্থী জোর করে চবি স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের চাবি নিয়ে গেলেও তারা কারা তা জানি না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ অহিদুল আলম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ইউজিসি থেকে একটি নির্দেশনা এসেছে জানিয়ে বলেন, যাঁরা এ নির্দেশনা মানবে, আমি তাঁদের পক্ষে। আর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের উপর হামলার কোনো অভিযোগ এখনো পাননি, তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।