চট্টগ্রাম 11:26 pm, Sunday, 29 June 2025

চবিতে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ অভিপ্রায় ও নির্দেশনার আলোকে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারী, ২০২৫) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াই্ইয়া আখতার। সভায় চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, চাকসুর সাবেক ভিপি, চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এস. এম. ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।

চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ও চবি কলেজ পরিদর্শক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-আমীন।

মতবিনিময় সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াই্ইয়া আখতার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে জোরালো ভূমিকা পালনের জন্য আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন। আমরা তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, যেখানেই আমাদের শিক্ষার্থীরা থাকেন, সেখানেই আমরা কাজ করতে চাই, অবদান রাখতে চাই। এ জন্যই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো.কামাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের লোক দাওয়াত দিয়েছি। পরস্পর আলোচনা করে সবাই মিলে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। চাকসুর সাবেক ভিপি, চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এস. এম. ফজলুল হক বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় কোন বিষয়ে কাজে অংশগ্রহণ করার এ প্রথম উদাহরণ। আপনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে অবদান রাখুন। পুরো জাতি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।

উদ্বোধনী সভা শেষে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। টেকনিক্যাল সেশনকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। সভায় নির্ধারিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন। সভায় ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূতত্ব বিষয়ক প্রভাব’ নিয়ে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় কারিগরি ও প্রকৌশল সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যালোচনা’ নিয়ে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্বপালন করেন চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্বপালন করেন চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেরে ড. মো. শাহাদাত হোসেন এবং ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় শাসন, নীতি বাস্তবায়ন ও জনআচরণ পর্যালোচনা’ নিয়ে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ও চবি কলেজ পরিদর্শক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ।

চবি উপাচার্য টেকনিক্যাল সেশনের সমাপনী অধিবেশনে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আপনাদের সকলের অবদানের স্বীকৃতি থাকবে। আমরা আগে উন্নয়নের গল্প শুনেছি। এখন আবার সংস্কারের গল্প শুনতে চাই না। সংস্কার হয়েছে, সেটা দেখতে চাই। আপনাদের পরামর্শ সরকার বাস্তবায়ন করুক, এটাই কামনা করছি।

সমাপনী অধিবেশনে ৪টি গ্রুপের মডারেটরগণ তাদের দলভুক্ত সদস্যদের দেয়া পরামর্শগুলোর সারাংশ তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত শিক্ষক, গবেষক, চট্টগ্রাম শহরের সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরসরাইয়ে ৩৫০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ 

চবিতে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Update Time : 08:10:20 pm, Monday, 27 January 2025

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ অভিপ্রায় ও নির্দেশনার আলোকে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারী, ২০২৫) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াই্ইয়া আখতার। সভায় চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, চাকসুর সাবেক ভিপি, চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এস. এম. ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।

চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ও চবি কলেজ পরিদর্শক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-আমীন।

মতবিনিময় সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াই্ইয়া আখতার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে জোরালো ভূমিকা পালনের জন্য আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন। আমরা তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, যেখানেই আমাদের শিক্ষার্থীরা থাকেন, সেখানেই আমরা কাজ করতে চাই, অবদান রাখতে চাই। এ জন্যই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো.কামাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের লোক দাওয়াত দিয়েছি। পরস্পর আলোচনা করে সবাই মিলে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। চাকসুর সাবেক ভিপি, চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এস. এম. ফজলুল হক বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় কোন বিষয়ে কাজে অংশগ্রহণ করার এ প্রথম উদাহরণ। আপনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে অবদান রাখুন। পুরো জাতি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।

উদ্বোধনী সভা শেষে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। টেকনিক্যাল সেশনকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। সভায় নির্ধারিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন। সভায় ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূতত্ব বিষয়ক প্রভাব’ নিয়ে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় কারিগরি ও প্রকৌশল সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যালোচনা’ নিয়ে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্বপালন করেন চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্বপালন করেন চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেরে ড. মো. শাহাদাত হোসেন এবং ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতায় শাসন, নীতি বাস্তবায়ন ও জনআচরণ পর্যালোচনা’ নিয়ে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ও চবি কলেজ পরিদর্শক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ।

চবি উপাচার্য টেকনিক্যাল সেশনের সমাপনী অধিবেশনে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আপনাদের সকলের অবদানের স্বীকৃতি থাকবে। আমরা আগে উন্নয়নের গল্প শুনেছি। এখন আবার সংস্কারের গল্প শুনতে চাই না। সংস্কার হয়েছে, সেটা দেখতে চাই। আপনাদের পরামর্শ সরকার বাস্তবায়ন করুক, এটাই কামনা করছি।

সমাপনী অধিবেশনে ৪টি গ্রুপের মডারেটরগণ তাদের দলভুক্ত সদস্যদের দেয়া পরামর্শগুলোর সারাংশ তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত শিক্ষক, গবেষক, চট্টগ্রাম শহরের সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।