কাঞ্চনের কোন ছেলে সন্তান না থাকায় বয়স ৫৫ হলেও এখনো দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান তিনি। ঘরে স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে কোনরকম নড়বড়ে টিনের ঘরে থাকেন। সম্বল বলতে মানুষের অনুদানে করা ঘরটিই ছিল। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সে ঘরটিও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন কাঞ্চন সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব পাগল প্রায়। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় হোছনাবাদ তাজ মোহাম্মদ পাড়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঞ্চনের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরের চারটি রুম। ঘর থেকে কোন কিছুই বের করতে পারেনি তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাঞ্চন জানান, ঘরটি মানুষের অনুদানে ২/৩ বছর আগে করেছিল। ঘরে আসবাবপত্র, ৭ হাজার টাকা ও অল্প স্বর্ণ ছিল। পরনের কাপড় ছাড়া তারা কিছুই বের করতে পারেনি।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গিয়েছিলাম। পরে আবার কল করে আগুন নিভে যাওয়ার খবর জানালে আমরা চলে আসি।