চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শিলক ইউনিয়নে স্থাপিত তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম বর্তমানে একটি জরাজীর্ণ ভাড়া ঘরে চলছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এখানে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। ভাঙাচোরা ভবন যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিলক ও সরফভাটা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা জোরদারের জন্য তদন্ত কেন্দ্রটি স্থাপন করা হলেও দীর্ঘদিনেও এর জন্য কোনো নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হয়নি। ফলে অতি পুরোনো একটি ভাড়া ঘরেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তদন্ত কেন্দ্রের বর্তমান ভবনটির ছাদ ফুঁটে গেছে, খসে পড়েছে ছাদের বিভিন্ন অংশ, বর্ষাকালে পানি চুইয়ে পড়ে। দেয়ালগুলো ফেটে গেছে এবং মেঝেতেও ভাঙা-চোরা অংশ দেখা যায়। পুরোনো কাঠামোর কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে।
তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ অফিসার এএসআই বাসু দেব জানান, “আমরা প্রতিনিয়ত ভয় নিয়ে ১২জন কনস্টেবল ও ৩জন অফিসার দায়িত্ব পালন করি। কখন যে ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে যায় বলা যায় না। তারপরও জনসেবার স্বার্থে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশ সদস্যরা সবসময় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। তারা বলেন, “শিলক তদন্ত কেন্দ্র এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু যে ভবনে কেন্দ্রটি চলছে সেটি একেবারেই অনুপযোগী। সরকারিভাবে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি।”
এ বিষয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, শিলক তদন্ত কেন্দ্রটি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার আগে স্থাপিত হয়েছে।ওই কেন্দ্রে বর্তমান জরাজীর্ণ ভবনে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করা একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদন করলে আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।