চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জামায়াতে ইসলামীর যুব সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব একাংশের সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম চৌধুরী। গতকাল রাতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জামায়াত নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমনকি তার সংগঠনের অনেক সদস্য এমন ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে কাইয়ুম চৌধুরীকে নিয়ে অনেকে বিরুপ মন্তব্য করেন।কেউ কেউ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পূর্বের পেশা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
ওই সংগঠনের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন “অবশেষে কালো তালিকায়!!!
সীতাকুণ্ড জামায়াতের যুব সমাজের নিউজ করায় আমাদের কয়েকজন (আমি জহির, নজরুল, ,দুলু, ইকবাল, মীর মামুন, সাইদুল হক, জাহেদ, হাকিম মেল্লা, ইকবাল, শেখ সাইফুল সহ আরও কয়েকজন) কে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব কালো তালিকায় লিপিবদ্ধ করেছে। এমন একটা নোটিশ ঐদিন সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মধ্যেই আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের ঐ কথিত নেতাকে বয়কট করা শুরু করেছি আমরা।”
এ বিষয়ে পোস্ট দাতা জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি জানান, সাংবাদিক নামধারী পঞ্চম শ্রেণির গন্ডি না পেরোনো কাইয়ুম চৌধুরী একসময় জুটমিলের শ্রমিক হয়ে সিলেট হবিগঞ্জ থেকে সীতাকুণ্ডে আসেন এবং এখানে বিয়ে করে সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা বনে যান। ৫ আগষ্টের পর আমাদের ক্লাবের নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালো টাকা ব্যবহার করে সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে নেয়। এরপর থেকে সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। আগে থেকে সে জামায়াত বিদ্বেষী হলেও পদ পাওয়ার পর প্রকাশ্যে জামায়াতে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলী জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং আমাকে অনেকে এসএমএস করেছেন। আজকের মিটিংয়ে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করবো।
কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে আমি সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় জামায়াত সমর্থিত বলয় মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা জাহাঙ্গীর এর মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ সময় তিনি পতিত স্বৈরাচারের এমপি এস এম আল মামুনের নির্বাচনী উপদেষ্টা ও ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত সৌমিত্র চক্রবর্তীর পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, সৌমিত্রের সাথে এমপি মামুনের কখনও যোগাযোগই ছিল না। সৌমিত্র একটা বাচ্চা ছেলে। সে কি করে মামুনের নির্বাচনী উপদেষ্টা হয়?