বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে হাটহাজারীতে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ দারুল উলুম মইনুল ইসলাম প্রকাশ হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়াত মুরুব্বিদের কবর জেয়ারত করেছেন।
শুক্রবার (০১ আগষ্ট) বেলা বারোটার দিকে তারা হাটহাজারী মাদরাসায় পৌঁছে মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব (সাবেক) শাইখুল ইসলাম মরহুম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ. সহ সকল মুরুব্বিদের কবর জিয়ারত করেন। পরে তারা মাদরাসার দায়িত্বশীলদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং মাদ্রাসার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এসময় সদরে মহতামিন ও শাইখুল হাদিস আল্লামা শেখ আহমদ, মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দেরা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাত শেষে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “হেফাজতের মুল নেতৃত্ব এখানে এই মাদ্রাসায়। গণতন্ত্র পুন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপি’র নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো প্রায় ১৬ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। তাতে সবচেয়ে বেশি শহীদ বিচারবহির্ভূত হত্যা মামলা হামলার শিকার হয়েছে বিএনপি। কিন্তু বিএনপি সবাইকে সাথে নিয়ে এ লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুর্থানে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। সেই আন্দোলনে আপনাদের যে অংশগ্রহণ ছিলো, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, জালেম সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছিলেন সেটার জন্য আপনাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা জানি গত ফ্যাসিবাদি সরকারের আমলে আলেম সমাজ বার বার নির্যাতিত হয়েছে,হেফাজতের ডাকে ২০১৩ সালে শাপলা হত্যাকান্ডের কথা জানি। সেদিন যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের আকাঙ্খা যেনো আমরা পুরণ করতে পারি সেজন্য মাদ্রাসার দায়িত্বশীলদের কাছে দোয়া চেয়েছি। আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সবার পরামর্শ নিয়েই বিএনপি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।”
পরে মাদ্রাসা মসজিদে জুমা নামাজ আদায় শেষে তারা ফটিকছড়ি বাবু নগর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন ।