রাজধানীর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতামার ময়দানে তাবলিগ জামাতে হামলা ও হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবিতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার অনেক সাদপন্থি এই হামলায় অংশ নিয়েছে দাবী করে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়। রাঙ্গুনিয়া থানার সকল ওলামা, মাশায়েখ, তাবলীগী সাথী ও দ্বীনদার মুসল্লীদের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে স্মারকলিপি প্রদানকালে ছিলেন মাওলানা আনাচ মাদানী, মুফতি জানে আলম, মাওলানা নুরুল আজিম, ক্বারী মুহাম্মদ ইছমাঈল, মুফতি মুহাম্মদ এমরান, ক্বারী রহিম উল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন, ক্বারী মুহাম্মদ হাছান, মাওলানা নেজাম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নুরুল আজিম, মুফতি দিলদার বিন কাশেম, আব্দুস সাকুর হাম্মাদ, মাওলানা মুহাম্মদ বাহদূর, মাওলানা মুহাম্মদ সোলাইমানসহ আলেম ওলামাবৃন্দ। এসব দাবী সম্বলীত স্মারকলিপি রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাব বরাবরও দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, ঢাকা টঙ্গী মাঠে হামলার ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থেকেও আটজন সাদপন্থি সদস্য অংশ নিয়েছেন। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, রাঙ্গুনিয়াতে তারা যেনো কোন কার্যক্রম চালাতে না পারে, তাদের নানা মতবাদ যাতে প্রচার করতে না পারে সেই দাবী জানানো হয়। এছাড়া দোভাষী বাজার এবাদতখানা ও জুম্মা মসজিদে তাদের কার্যক্রম এখনো চলছে উল্লেখ করে অচিরেই তা বন্ধের দাবী জানান তাঁরা। তাদের এই দাবীর সাথে রাঙ্গুনিয়ার ৪০টি মাদ্রাসার আলেম-ওলামাবৃন্দ ঐক্যমত পোষণ করেন।
২০১৮ সালে রাঙ্গুনিয়ার সাদপন্থিরা সমঝোতা বৈঠকে তাওবা করলেও তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে উল্লেখ করে রাঙ্গুনিয়াতে তাদের আর কার্যক্রম মেনে নেয়া হবে না বলে জানান আলেম-ওলামাবৃন্দ। এরআগে গত ১৯ ডিসেম্বর একই দাবীতে রাঙ্গুনিয়ার সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও শূরায়ে নিজামের দাওয়াতী সাথীবৃন্দের আয়োজনে বিক্ষোভ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।