তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন সংযত থাকতে সংযম রাখতে ধর্য্য ধরতে, তবে সংযত সংযম ধর্য্যেরও একটা বাধ আছে। দেশে কিছু কিছু নেতা আছে দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন স্বপ্নের কথা বলে বাস্তবায়ন করে না কিন্তু তারেক রহমান স্বপ্ন দেখেন কম দেশকে নিয়ে ভাবেন এবং সে ভাবনাকে কর্মে করে উনি বাস্তবায়ন করেন সেটির ফলশ্রুতি হচ্ছে ৫ আগস্ট ২০২৪। কিন্তু একদল বলে তাদের আন্দোলনে নাকি জুলাই আর আগস্টে নাকি সৈরাচারের পতন হয়েছে। তারা নিজেদের সুপার ম্যান স্পাইডার ম্যান মনে করতেছে। সতের বছর আন্দোলন সংগ্রাম নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে বাংলাদেশকে ৫ আগস্ট এনে দিয়েছে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আর সে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমান। বিএনপির একটি ইউনিয়নে যে নেতাকর্মী আছে তোমাদের পুরো দেশব্যাপী তার অর্ধেকও নাই।
শনিবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মীর মো.হেলাল উদ্দিন হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলীতে তিন ইউনিয়ন ছিপাতলী, গুমানমর্দ্দন ও নাঙ্গলমোড়ার বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে জন-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অনেকে কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, অনেকের রোদ ভাল লাগেনা, রোদ উঠলে চোখ জ্বালাপোড়া করে তাই বলে কি দুই হাত দিয়ে সূর্যকে ঢাকা যায়, কখনও সম্ভব না, নিজের চোঁখে নিজে হাত রেখে রোদ থেকে চোঁখকে দুরে রাখা যায়। তেমনি তারেক রহমান বাংলাদেশের সূর্য ভাল না লাগলে নিজের চোঁখকে ঢেকে রাখবেন উনাকে নিয়ে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করবেন না এর পরিনাম ভাল হবেনা।
তিনি বলেন, একটি দল আছে যারা দেশব্যাপী চাঁদা তোলে ইসলামী ব্যাংক থেকে চাঁদা তোলে সারাদেশ থেকে লোক এনে একটা সমাবেশ করে কিছু লোকজন দেখায় তাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, বিএনপির একটি অজপাড়া গাঁয়ের একটি ইউনিয়নের সমাবেশে কি পরিমান নেতাকর্মী হয় তা দেখে বুঝে নেন বিএনপির জনপ্রিয়তা। মীর হেলাল বলেন, জাতীয় নেতৃত্বের নামে কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য রাখাকে তারা স্মার্টনেস মনে করছে মূলত সেটি হচ্ছে তাদের পরিবারের পরিচয় সে পরিবার থেকে তারা উঠে এসেছেন। তারা এত কিছু করার কারণ হচ্ছে তারা জানে যদি দেশে জাতীয় নির্বাচন হয় তারা দশটি সিটও পাবেনা। তারা বীনা ভোটে সরকারের অংশীদারিত্ব চায় অন্তর্বতীকালীন সরকারের সময় সুযোগ নিতে চায়। এজন্যই বার বার নির্বাচনের বিপক্ষে বুলি ছুড়ছে। ভাবছে দেরীতে নির্বাচন হলে বিএনপির ভোট কমবে কিন্তু একশ বছর নির্বাচন হলেও বিএনপি ২৭০ টির অধিক সিট পাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে মীর হেলাল তিন ইউনিয়নের আহবায়ক সদস্য সচিবের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য ফরম তুলে দেন।
এসময় হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুর মোহাম্মদ, পৌরসভার আহবায়ক জাকের হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব অহিদুল আলম, উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল হালিম, উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিমুল, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম সদস্য সচিব শুক্কুর মেম্বার, ছিপাতলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ কামাল উদ্দিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
ছিপাতলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ডা.আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান এবং নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সালাউদ্দীন আলী ও ছিপাতলী সদস্য সচিব কামাল হোসাইন।