চট্টগ্রাম 10:41 pm, Tuesday, 5 August 2025

তেগবাজ ব্রিজ ভেঙে যান চলাচলে বিঘ্ন: স্থানীয়দের ভোগান্তি, দ্রুত সংস্কারের দাবি

সন্দ্বীপ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত তেগবাজের গৌ ব্রিজ সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ ভেঙে পড়ে। ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণে পুরাতন সন্দ্বীপ টাউন থেকে চৌমুহনী বাজারমুখী সড়কে কয়েক ঘণ্টার জন্য যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর মার্কেট থেকে প্রায় ২০০ ব্যাগ মালামাল বহনকারী একটি ট্রাক হরিশপুরের দিকে যাওয়ার সময় ব্রিজের মাঝখানে ধসে পড়ে। ফলে দুই দিক থেকেই যানবাহন আটকে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুর নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে কাঠের পাটাতন বসিয়ে অস্থায়ীভাবে যান চলাচল শুরু করেন। বর্তমানে সড়কটি শুধুমাত্র রিকশা ও সাইকেল চলাচলের জন্য খোলা রয়েছে।

ব্রিজটির অবস্থান স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পূর্ব পাশে রয়েছে পৌরসভা অফিস মার্কেট ও কার্গিল সরকারি হাইস্কুল, পশ্চিমে সন্দ্বীপ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দক্ষিণে বাতেন মার্কেট এবং উত্তরে পুরাতন সন্দ্বীপ টাউন।

জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ব্রিজটি তিন দফায় নির্মাণ করা হলেও এটি এখন পর্যন্ত ছয়বার ভেঙে পড়েছে। প্রতিবারই কেবল সিমেন্ট দিয়ে অস্থায়ী মেরামতের মাধ্যমে সমস্যার সাময়িক সমাধান করা হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হয়নি।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মাইনউদ্দীন বলেন, “আমরা আর কাঠের পাটাতন দিয়ে চলাচল করতে চাই না। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করতে হবে। এটি আমাদের মাননীয় উপদেষ্টার জন্মস্থানের পাশেই অবস্থিত, তাই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি।”

এ বিষয়ে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোরশেদ আলম জানান, “ব্রিজটি ব্যবহারযোগ্য রাখতে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কৌশিক বড়ুয়া বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে ব্রিজটি পরিদর্শন করেছি। আপাতত এটি ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় শুধুমাত্র রিকশা ও সাইকেল চলাচল করতে পারবে। ভারী যানবাহনের জন্য বিকল্প সড়ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ব্রিজটি টেকসই ও স্থায়ীভাবে পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে নানা আয়োজনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালিত

তেগবাজ ব্রিজ ভেঙে যান চলাচলে বিঘ্ন: স্থানীয়দের ভোগান্তি, দ্রুত সংস্কারের দাবি

Update Time : 09:57:50 pm, Monday, 4 August 2025

সন্দ্বীপ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত তেগবাজের গৌ ব্রিজ সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ ভেঙে পড়ে। ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণে পুরাতন সন্দ্বীপ টাউন থেকে চৌমুহনী বাজারমুখী সড়কে কয়েক ঘণ্টার জন্য যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর মার্কেট থেকে প্রায় ২০০ ব্যাগ মালামাল বহনকারী একটি ট্রাক হরিশপুরের দিকে যাওয়ার সময় ব্রিজের মাঝখানে ধসে পড়ে। ফলে দুই দিক থেকেই যানবাহন আটকে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুর নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে কাঠের পাটাতন বসিয়ে অস্থায়ীভাবে যান চলাচল শুরু করেন। বর্তমানে সড়কটি শুধুমাত্র রিকশা ও সাইকেল চলাচলের জন্য খোলা রয়েছে।

ব্রিজটির অবস্থান স্থানীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পূর্ব পাশে রয়েছে পৌরসভা অফিস মার্কেট ও কার্গিল সরকারি হাইস্কুল, পশ্চিমে সন্দ্বীপ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দক্ষিণে বাতেন মার্কেট এবং উত্তরে পুরাতন সন্দ্বীপ টাউন।

জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ব্রিজটি তিন দফায় নির্মাণ করা হলেও এটি এখন পর্যন্ত ছয়বার ভেঙে পড়েছে। প্রতিবারই কেবল সিমেন্ট দিয়ে অস্থায়ী মেরামতের মাধ্যমে সমস্যার সাময়িক সমাধান করা হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হয়নি।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মাইনউদ্দীন বলেন, “আমরা আর কাঠের পাটাতন দিয়ে চলাচল করতে চাই না। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করতে হবে। এটি আমাদের মাননীয় উপদেষ্টার জন্মস্থানের পাশেই অবস্থিত, তাই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি।”

এ বিষয়ে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোরশেদ আলম জানান, “ব্রিজটি ব্যবহারযোগ্য রাখতে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কৌশিক বড়ুয়া বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে ব্রিজটি পরিদর্শন করেছি। আপাতত এটি ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় শুধুমাত্র রিকশা ও সাইকেল চলাচল করতে পারবে। ভারী যানবাহনের জন্য বিকল্প সড়ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ব্রিজটি টেকসই ও স্থায়ীভাবে পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।