সোমবার ২ জুন বিকাল পাঁচ ঘটিকায় উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা রুপারচর থেকে প্রায় ১৬৪০ লিটার চোলাই মদ এবং ৫৪০০ লিটার চিটা গুড় মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার করেছে। দীর্ঘ তিন দশক ধরে এ এলাকায় মাদকের ব্যবসা চলে আসছে বলে জানা গেছে। সোমবার বিকাল চারটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে এ মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় এ গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মদসহ কিছু লোক আটক করলেও তাঁদের ব্যবসাকে নির্মুল করতে পারেনি। নবাবগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম একাধিকবার রুপারচর গ্রামে গিয়ে নারী পুরুষ ডেকে সভা করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। ইউএনও গত কয়েকদিন ওই এলাকায় বিশেষ সোর্স মোতায়েন করে তাঁদের ব্যবসায়িক আস্তানার সন্ধান করে। পরে সোমবার বিকেলে যৌথ বাহিনী নিয়ে অভিযান চালায়।
শোল্লা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, রুপারচর ও নিলাম্বরপট্টি গ্রামটি কাঁশবন ও ফসলে ঘেরা। ওই এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবার কাঁশবনের মধ্যে মাটির নিচে বাংকার তৈরী করে সেখানে ড্রাম বসিয়ে চোলাই মদ তৈরী করে আসছে। তাঁরা রাতের আঁধারে এসব করে।
প্রত্যক্ষদর্শী আলম হোসেন বলেন, সেনা পুলিশ মাদক অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের গাড়ী প্রবেশ করতে দেখে ওই গ্রামবাসী ঘরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। এসময় বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্য, পুলিশ, মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের সদস্যদের উপস্থিতিতে এলাকায় আতংকের পরিবেশ তৈরী হয়। বনের ভেতর ও ফসলের ক্ষেত তল্লাশি করে খোঁজ পায় মদ তৈরীর একাধিক কারখানা।