চট্টগ্রাম 8:45 pm, Tuesday, 5 August 2025

নবাবগঞ্জে উপজেলার ইছামতি নদী দখলমুক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অভিযান

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী দখলমুক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কচুরিপানা অপসারণ করেছে। তারা অবৈধ মাছের ঘের তুলে নিতেও আল্টিমেটাম দেয়।

সোমবার বেলা ১২টায় শিকারীপাড়া হাগ্রাদী বাজার এলাকা থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন তারা। প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীজুড়ে এ অভিযান চালায় শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন যাবত একটি প্রভাবশালী মহল শিকারি পাড়া দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদীর একটি অংশ দখল করে মাছ চাষ করছে। নদীতে বাধ দেওয়ায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে নদীর পানি জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারেনি দীর্ঘদিন। আমরা চাই নদীটি সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। কারণ এক সময় প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেত এখানে।

শিকারি পাড়া হাগ্রাদী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ বলেন, এক সময় প্রবল স্রোত ছিল ইছামতি নদীতে। একটি মহল ক্ষমতার দাপটে দেখিয়ে একযুগ ধরে নদীর হাগ্রাদী থেকে শিকারীপাড়া বাজার পর্যন্ত দখল করে মাছ চাষ করে আসছে। তারা লাভবান হলেও নদীটি তাদের দখল ও দূষণে আজ মৃত প্রায়।

ব্যবসায়ী মো. বাদল মিয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুর রহমান পেয়ারা দীর্ঘদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নদী দখল করে মাছ চাষ করছে। নদীটি দূষিত ও আবর্জনায় ভরে মৃত এখন। আমরা চাই নদীতে আবার প্রাণ ফিরে আসুক। এটাই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, শীঘ্রই নদীকে দখল মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্দ্বীপে অস্ত্রসহ আটক দুই: অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার 

নবাবগঞ্জে উপজেলার ইছামতি নদী দখলমুক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অভিযান

Update Time : 11:16:46 pm, Monday, 12 August 2024

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী দখলমুক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কচুরিপানা অপসারণ করেছে। তারা অবৈধ মাছের ঘের তুলে নিতেও আল্টিমেটাম দেয়।

সোমবার বেলা ১২টায় শিকারীপাড়া হাগ্রাদী বাজার এলাকা থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন তারা। প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীজুড়ে এ অভিযান চালায় শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন যাবত একটি প্রভাবশালী মহল শিকারি পাড়া দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদীর একটি অংশ দখল করে মাছ চাষ করছে। নদীতে বাধ দেওয়ায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে নদীর পানি জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারেনি দীর্ঘদিন। আমরা চাই নদীটি সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। কারণ এক সময় প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া যেত এখানে।

শিকারি পাড়া হাগ্রাদী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ বলেন, এক সময় প্রবল স্রোত ছিল ইছামতি নদীতে। একটি মহল ক্ষমতার দাপটে দেখিয়ে একযুগ ধরে নদীর হাগ্রাদী থেকে শিকারীপাড়া বাজার পর্যন্ত দখল করে মাছ চাষ করে আসছে। তারা লাভবান হলেও নদীটি তাদের দখল ও দূষণে আজ মৃত প্রায়।

ব্যবসায়ী মো. বাদল মিয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুর রহমান পেয়ারা দীর্ঘদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নদী দখল করে মাছ চাষ করছে। নদীটি দূষিত ও আবর্জনায় ভরে মৃত এখন। আমরা চাই নদীতে আবার প্রাণ ফিরে আসুক। এটাই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, শীঘ্রই নদীকে দখল মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।