ঢাকা নবাবগঞ্জের গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম্ পুলিশ আসলামের বিরুদ্ধে রাস্তার কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী চুরি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মিয়াহাটি এলাকায় শাহজাহান মাদবর, মুক্তার ও করিম বাবুর্চি আসলামের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, বিগত আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতা থাকার পর থেকে গালিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার ঢালাই কাজে কর্মরত শ্রমিকদের বিল নিজ প্রয়োজনে উত্তোলন করতেন এই গ্রাম পুলিশ। এছাড়াও করিম বাবুর্চির ছেলের ২৮ হাজার টাকা ইউনিয়ন পরিষদের কাজের বিল বাবদ বকেয়া ছিল সে টাকাও আসলাম আত্মসাৎ করে আসলাম।
এদিকে মিয়াহাটি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা শাজাহান মাদবর বলেন, এলাকায় থাকা অবস্থায় ছেলেকে দিয়ে মাদক ব্যবসা চালাতো এই গ্রাম পুলিশ। থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে মানুষকে হয়রানি করতো। এছাড়াও পরিষদের ব্যবহৃত ইট ও ইটের খোয়া ভ্যান গাড়ি দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। বিক্রি করতে গেলে সবাই জানতে পারে এগুলো সরকারি মালামাল, তখন এলাকার মানুষের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান পরিষদের আত্মসাৎ করা ইট ও ইটের খোয়া জব্দ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, আসলাম গ্রামে পুলিশ হলেও ঠিকমতো পরিষদের ডিউটি করেন না বরং অটোরিকশা চালায় এবং কাজ না করে প্রতি মাসে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধার সাথে সাথে বেতনও নিয়ে থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, আসলাম গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিভিন্ন কাজের বিল বেশি দেখিয়ে বাকি টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। পরিষদের মালামাল নিজের মাল মনে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং সে বিভিন্ন অনিয়ম কাজে জড়িত রয়েছে। মেম্বারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে নবাবগঞ্জ ইউএনও দিলরুবা ইসলাম বরাবর আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।