ঢাকার নবাবগঞ্জের একটি ডোবা থেকে এক মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। স্থানীয় এলাকাবাসি ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর রাতে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ নবাবগঞ্জের বাহ্রা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় মাদরাসা শিক্ষার্থী লাবিব পত্তনদারের মরদেহটি উদ্ধাের করেন।
এর আগে শুক্রবার নিজ বাড়ি থেকে নিখোজ হন লাবিব।লাবিবের নিখোঁজের সংবাদটি স্যোশ্যল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন সহ সব মহলেই জানাজানি হয়। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে বাবুল পত্তনদার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
প্রাথমিকভকবে পুলিশের ধারনা তাকে শ্বাসরোধকরে হত্যা করে লাশটি ডোবাতে ফেলে দেয় অপরাধিরা।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারনা করছি শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার গায়ে আঘাতের চিহ্র পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আমরা বাবুল পত্তনদার নামে একজনকে আটক করেছি। শিশুটির মা চম্পা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহত শিশু লাবিব পত্তনদারের মা চম্পা বেগম বলেন, তার ছেলেকে হত্যা করে ডোবাতে ফেলে দিয়েছে পাষন্ডরা। এ হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি। একই সাথে লাবিব পত্তনদার হত্যার সাথে জড়িতদের অনতিবিলম্বে বিচার দাবি করেন রসুলপর এলাকার বাসিন্দা, আলমগীর দেওয়ান, শিউলী আক্তার ও নিহত লাবিব পত্তনদারের চাচা মো: বাবু পত্তনদার। নিহত শিশু লাবিব নবাবগঞ্জের আব্দুল জব্বার নূরানী কিন্ডার গার্টেন এর প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বাহ্রা রসুলপুর এলাকার হারুন পত্তনদারের ছেলে