চট্টগ্রাম 12:15 am, Wednesday, 30 July 2025

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই- হুম্মাম কাদের চৌধুরী

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যদি ফেব্রুয়ারীর মাসের পরে নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয়, নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না, আন্দোলন ছাড়া। আমাদের মাঠে নেমে যেতে হবে। এই ইন্টেরিয়াম গর্ভমেন্টের দুর্বলতা যেখানে যেখানে ধরতে পেরেছি, সেগুলো নির্বাচন বাদে ঠিক করা সম্ভব হবে না। আমাদের দেশের পক্ষ থেকে বাইরের রাষ্ট্রগুলোর সাথে নেগোসিয়েট করার মেন্ডেট কিন্তু বর্তমান সরকারের নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েও দ্বন্ধে রয়েছে। কারণ এই সরকারের কোন মেন্ডেট নেই। তাই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য এখন পুরোপুরি নির্ভর হয়ে গেছি সেনাবাহিনীর উপর। কিন্তু উনাদের তো ব্যারেকে ফিরে যেতে হবে এবং যে দায়িত্বটা পুলিশের করার কথা, সেটা পুলিশ করবে। এভাবে বাংলাদেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হয়, সেটা নির্বাচন ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এটার জন্য যদি আবার রাজপথে নামতে হয়, তবে আমরা নামবো।

রাঙ্গুনিয়ায় এনজিও ব্যবসায় ছাড়া হাছান মাহমুদ আর কিছু করেনি। ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প থেকে যে ফান্ডগুলো আনা হয়েছে তার এক টাকাও রাঙ্গুনিয়ার মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছেছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। হাছান মাহমুদের নামে সম্ভবত ২২টা এনজিও রেজিস্ট্রার্ড আছে। ইনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার থাকা অবস্থায় যত লুঠ হয়েছে, যে টাকা পাচার উনি করেছেন, তা দিয়ে মিনিমাম ২০ বছর রাঙ্গুনিয়া চালানো যেতো। এগুলো তদন্ত করতে হবে। রাঙ্গুনিয়ার যে রাস্তা দিয়েই যায়, মুরব্বিরা বলেন এই রাস্তা আপনার বাবা করেছেন। তাহলে হাছান মাহমুদ করলোটা কি। রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের জন্য কাপ্তাই সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক প্রসস্ত, মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।

রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির একাধিক গ্রুপে বিভক্তি ভোটে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত দুইটা অবৈধ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি একটা প্লানিং নিয়ে এগিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ডিসকোয়ালিফাই করার চেষ্টা করবে৷ তাই প্রতিটি আসনে তিনজন করে প্রার্থী রেডি করেছিলাম। যাতে একজনকে বাদ দিলে বিকল্প প্রার্থী পাওয়া যায়। এটার কারণে আমাদের কিছুটা গ্রুপিং সৃষ্টি হয়ে গেছে। যেটা এখন আমাদের ফেস করতে হচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনে যখন একজন প্রার্থী নির্ধারিত হয়ে যাবে, তখন প্রতীক দেখে এবং দলকে ভালবেসে সবাই তখন একটি প্লাটফর্মে চলে আসবে।

জিয়া পরিবার যেভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয়া হল, উনাকে কারাগারে পাঠানো, তারেক রহমানকে নিয়ে ১-১১ থেকে শুরু হয়েছে, নানা নির্যাতন, এরপর উনি দেশছাড়া হয়েছেন। এরকম শত নির্যাতন করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন উনি দেশে ফিরে এলে এর বদলা নিবেন। কিন্তু আমি যতবার তারেক রহমানকে বলেছি, ভাইয়া ক্ষমতায় আসলে কিন্তু সবকটাকে দেখে নেবো। কিন্তু উনি আমাকে বলেছেন, হুম্মাম মাথা ঠান্ডা রাখো। যে জুলুম নির্যাতন আমাদের উপর হয়েছে, তা আল্লাহ মাফ করবে না। উনি আসলেই ধর্য্যের প্রমাণ দিয়েছেন। এই যে আমরা কথা বলছি, সেটা ফেরেস্তা নিজে এসে আন্দোলন সফল করেছেন। কারণ মানুষ হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছি, হুকুম আল্লাহর ছিলো বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

নিজের পিতার মৃত্যুর বিচার প্রসঙ্গে উনি বলেন, আপনারা আমার বাবার নামের আগে মরহুম বলেন। কিন্তু উনাকে সেভাবে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে, সেটা আদালতেই প্রমাণ হোক। আমাদের চাওয়া, উনাকে প্রহসনের বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে খুন করা হয়েছে, সেই প্রমাণ যেনো আদালতের মাধ্যমে হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রাঙ্গুনিয়ায় ইউপি সদস্যকে নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই- হুম্মাম কাদের চৌধুরী

Update Time : 10:11:26 pm, Monday, 28 July 2025

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যদি ফেব্রুয়ারীর মাসের পরে নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয়, নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়, তবে আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না, আন্দোলন ছাড়া। আমাদের মাঠে নেমে যেতে হবে। এই ইন্টেরিয়াম গর্ভমেন্টের দুর্বলতা যেখানে যেখানে ধরতে পেরেছি, সেগুলো নির্বাচন বাদে ঠিক করা সম্ভব হবে না। আমাদের দেশের পক্ষ থেকে বাইরের রাষ্ট্রগুলোর সাথে নেগোসিয়েট করার মেন্ডেট কিন্তু বর্তমান সরকারের নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েও দ্বন্ধে রয়েছে। কারণ এই সরকারের কোন মেন্ডেট নেই। তাই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য এখন পুরোপুরি নির্ভর হয়ে গেছি সেনাবাহিনীর উপর। কিন্তু উনাদের তো ব্যারেকে ফিরে যেতে হবে এবং যে দায়িত্বটা পুলিশের করার কথা, সেটা পুলিশ করবে। এভাবে বাংলাদেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হয়, সেটা নির্বাচন ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এটার জন্য যদি আবার রাজপথে নামতে হয়, তবে আমরা নামবো।

রাঙ্গুনিয়ায় এনজিও ব্যবসায় ছাড়া হাছান মাহমুদ আর কিছু করেনি। ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প থেকে যে ফান্ডগুলো আনা হয়েছে তার এক টাকাও রাঙ্গুনিয়ার মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছেছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। হাছান মাহমুদের নামে সম্ভবত ২২টা এনজিও রেজিস্ট্রার্ড আছে। ইনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার থাকা অবস্থায় যত লুঠ হয়েছে, যে টাকা পাচার উনি করেছেন, তা দিয়ে মিনিমাম ২০ বছর রাঙ্গুনিয়া চালানো যেতো। এগুলো তদন্ত করতে হবে। রাঙ্গুনিয়ার যে রাস্তা দিয়েই যায়, মুরব্বিরা বলেন এই রাস্তা আপনার বাবা করেছেন। তাহলে হাছান মাহমুদ করলোটা কি। রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের জন্য কাপ্তাই সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক প্রসস্ত, মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।

রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির একাধিক গ্রুপে বিভক্তি ভোটে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত দুইটা অবৈধ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি একটা প্লানিং নিয়ে এগিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ডিসকোয়ালিফাই করার চেষ্টা করবে৷ তাই প্রতিটি আসনে তিনজন করে প্রার্থী রেডি করেছিলাম। যাতে একজনকে বাদ দিলে বিকল্প প্রার্থী পাওয়া যায়। এটার কারণে আমাদের কিছুটা গ্রুপিং সৃষ্টি হয়ে গেছে। যেটা এখন আমাদের ফেস করতে হচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনে যখন একজন প্রার্থী নির্ধারিত হয়ে যাবে, তখন প্রতীক দেখে এবং দলকে ভালবেসে সবাই তখন একটি প্লাটফর্মে চলে আসবে।

জিয়া পরিবার যেভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয়া হল, উনাকে কারাগারে পাঠানো, তারেক রহমানকে নিয়ে ১-১১ থেকে শুরু হয়েছে, নানা নির্যাতন, এরপর উনি দেশছাড়া হয়েছেন। এরকম শত নির্যাতন করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন উনি দেশে ফিরে এলে এর বদলা নিবেন। কিন্তু আমি যতবার তারেক রহমানকে বলেছি, ভাইয়া ক্ষমতায় আসলে কিন্তু সবকটাকে দেখে নেবো। কিন্তু উনি আমাকে বলেছেন, হুম্মাম মাথা ঠান্ডা রাখো। যে জুলুম নির্যাতন আমাদের উপর হয়েছে, তা আল্লাহ মাফ করবে না। উনি আসলেই ধর্য্যের প্রমাণ দিয়েছেন। এই যে আমরা কথা বলছি, সেটা ফেরেস্তা নিজে এসে আন্দোলন সফল করেছেন। কারণ মানুষ হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছি, হুকুম আল্লাহর ছিলো বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

নিজের পিতার মৃত্যুর বিচার প্রসঙ্গে উনি বলেন, আপনারা আমার বাবার নামের আগে মরহুম বলেন। কিন্তু উনাকে সেভাবে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে, সেটা আদালতেই প্রমাণ হোক। আমাদের চাওয়া, উনাকে প্রহসনের বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে খুন করা হয়েছে, সেই প্রমাণ যেনো আদালতের মাধ্যমে হয়।