বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর খলিফা-এ গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আমিনুল হক ফরহাদাবাদীর এর ৮০তম ওরশ মাজার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, খতমে কোরআন, মাজারের গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল, তবারুক বিতরণ, সা’মা মাহফিল এবং আখেরি মোনাজাত।
যথাযথ ভক্তিশ্রদ্ধা সহকারে ওরশ শরীফে ভক্ত-আশেকানদের উপস্থিত থাকার জন্য ওরশ এন্তেজামিয়া কমিটির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিভাবে যাওয়া যায়-
চট্টগ্রামের মুরাদপুর এবং অক্সিজেন বাস স্টেশন থেকে বাস বা লোকাল সিএনজি যোগে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এসে সেখান থেকে আবার লোকাল সি.এন.জি.যোগে মাজার শরিফ এ যাওয়া যায়।
জানা যায়, ১৫৭৫ সনে সৈয়দ বংশের কিছুলোক গৌড় নগর ত্যাগ কওে চট্টগ্রাম জেলায় এসে পৌছেন এবং তারা ধর্ম প্রচারের কাজে আন্মনিয়োগ করেন। তার মধ্যে সৈয়দ নুরউদ্দীন কাজীর নাম উলেস্নখযোগ্য। তিনি গৌড়ের বিচারপতি ছিলেন। তিনি ফরহাদাবাদ গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তার নামের স্মারকরূপে ‘নুর কাজী’ বংশ নামে সুপরিচিত। উক্ত বংশে হযরত মাওলানা সৈয়দ আব্দুল করিমের পবিত্র ঔরশে গাউছে মোকাররম মোজাদ্দেদ জামান হযরত আলস্নামা আলহাজব শাহ সুফী সৈয়দ আমিনুল হক (র:) ১৮৬৬ খৃ: ফরহাদাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতার নাম সৈয়দ নাছিমা খাতুন। তার পিতা হযরত মাওলানা সৈয়দ আব্দুল করিম একজন জবরদ্সত আলেম ছিলেন। তিনি মোহছেনীয়া মাদ্রাসা হতে ফাজিল পরীক্ষায় পাশ করেন। ‘‘দেওয়ানে আজিজ’’ নামক কিতাবে আলস্নামা ফরহাদাবাদীর শানে অনেক শের রচিয়ত হয়েছে। উক্ত শেরগুলোর মধ্যে ফরহাদাবাদীর এলামের যথেষ্ট প্রশংসা রয়েছে। তিনি অনেক কিতার রচনা করেন। তার মধ্যে কিছু উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে (১) তোহফাতুল আখইয়ার ফী দাফ্-ই পারারাতিল আশবার ১ম এবং ২য় খ- (২) আত্তা ও জিহাতুল বহিয়্যাহ।