চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে উপজেলা বিএনপি’র একাংশ। পরিকল্পিত ভাবে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোষর আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে জাতীয়াতাবাদী শক্তির উপর দোষ চাপিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা সদরে রুপটপ রেস্তোঁরায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।
এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর, রফিকুজ্জামান চেয়ারম্যান, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ওচমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোশাররফ হোসেন লাভলু চৌধুরী, দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান, করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব ইয়াছিন মিজান, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রবিউল হোসেন, মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দিন, সাহেরখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব দিদারুল আলম মিলন ভূঁইয়া, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কামাল উদ্দিন, মিরসরাই থানা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সদস্য সচিব শাহ মোঃ ফোরকান উদ্দিন চৌধুরী, যুবদল নেতা মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী রানা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন টিটু, মিরসরাই পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইনজামামুল হক ইমন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই, অবৈধ ভাবে মাটি কাটা, সরকারি জায়গা দখলসহ নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উপজেলার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কার্যকর কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা প্রয়োজনের সময় পুলিশকে বারবার ফোন দিয়েও কোন প্রতিকার পায় না। তাই আমরা সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেমে উপজেলার আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি এবং ১০ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
প্রস্তাবনাগুলোতে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজদের গ্রেফতারের আওতায় আনা, উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনে বিগত সরকারের রেখে যাওয়া দলীয় কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়ে তোলা, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন জায়গা দখল করে দিঘী খনন, বাড়ি নির্মান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা, পাহাড় ও সমতল থেকে সরকারি গাছ কাটা বন্ধ করা, পৌরবাজারগুলোতে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, কৃষি জমি ও পাহাড়ি মাটি কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের গ্রেফতার এবং সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করা হয়। লিখিত বক্তব্যের পর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা অবনতি নিয়ে উপস্থিত সংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
উপজেলার আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ সম্পর্কে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ও জোরারগঞ্জ থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, উপজেলার আইনশৃঙ্খলা আগের তুলনার অনেক ভালো আছে। সকল ধরণের অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে তারা বলেন, মাটি কাটা সরঞ্জাম, গাড়ি কিংবা অপরাধীদের ধরে আনলে অভিযোগকারীই ছাড়িয়ে নিতে তদবির করেন বিভিন্ন সময়।