চট্টগ্রামের মিরসরাই করেরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গেড়ামারা এলাকায় আজিজ নগর গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে বিগত ৪০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এই সড়ক দিয়ে আজিজ নগর এলাকার প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে।
বিগত ৪০ বছর যাবৎ করেরহাট ইউনিয়নের করেরহাট – শুভপুর সড়ক সংলগ্ন এইচ এনবি ব্রিকফিল্ড পাশে বাদশা মিয়া সড়ক থেকে
আজিজনগর আল-মাদানিয়া জামে মসজিদ, আজিজিয়া মসজিদ হয়ে স্থানীয় বেলালদের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
এতো বছরেও জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় প্রতিদিন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, রোগীসহ এখানকার কৃষকরা বাজারসদায় করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
শুষ্ক মৌসুমে কোন মতে চলাচল করলেও বর্ষার সময় এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায় স্থানীয় জনসাধারণের। সড়কটির এমন বেহাল দশায় সিএনজি- অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দিয়ে চলাচল করলে মনে হয় এই বুঝি পরে যাচ্ছে। রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। অপরদিকে মাটির এ সড়কটির সংস্কার বা উন্নয়নে বছরের পর বছর স্থানীয় গ্রামবাসী আশারবাণী শুনে আসছেন।
স্থানীয় আনিছুর রহমান (৬০) জানান, এই গ্রামের কমপক্ষে ১ হাজার পরিবারের বসবাস। এই সড়কটি বিগত ৩০-৪০ বছর যাবৎ কোন সংস্কার হয়নি। বর্ষার সময় ব্যবহারের পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ সময় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে হেঁটেই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীকে।
আমিনুর রহমান(৭০) নামে এক ভুক্তভোগী জানান, বর্ষার পুরো সময়ই সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী থাকায় রোগী,বয়স্ক লোকজন কিংবা অসুস্থ গর্ভবতী মহিলাদেরও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কখনো জরুরি প্রয়োজনে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে রোগীদের বহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি ১ নং করের হাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন সাহেবকে রাস্তা সংস্কারে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।