চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে লাখো গ্রাহক বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বিদ্যুতের খুুঁটি ভেঙে ও তার ছিড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে অন্ধকারে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন অনেক এলাকার মানুষ।
উপজেলার অনেক জায়গায় গাছ পড়ে বসতঘরের ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে মৎস্য প্রকল্পের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাছ। গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়ে এখনো মাঝে মাঝে ধমকা হাওয়া ঝড়ো বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার (২৬ মে) দিনগত মধ্যরাত থেকে রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে সোমবার ভোর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। মিরসরাই পেনাপুনি এলাকায় তামরিজ শিশু একাডেমির উপর গাছ পড়ে প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে গেছে।
উপজেলার মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার মৎস্য চাষিদের থেকে জানা গেছে ফেনী নদীর জোয়ারের পানিতে প্রকল্পের অর্ধ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। প্রচুর মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী উদয় দাশ গুপ্ত জানান, ঝোড়ো বাতাসে খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় লক্ষ চাইতে বেশি গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগতে পারে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, জোয়ারের পানি ঢুকে কিছু মৎস্য প্রকল্পের মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থলে যাবো।
মিরসরাই ফায়ারসার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে যে কোন পরিস্থিতিতে ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা সর্তক অবস্থায় আছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।