চট্টগ্রাম 8:29 pm, Monday, 17 November 2025

মিরসরাইয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ডিলারের দূর্নীতি, গ্রাহকদের ক্ষোভ

চট্টগ্রামের ‎মিরসরাইয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ডিলারের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫০০ জনের পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও ৩৯৭ জনকে পণ্য দিয়ে বিক্রি শেষ করে গ্রাহকদের পণ্য না দেয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। একই ডিলারের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক পত্রিকায় অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। তারপরও কিভাবে বহাল তবিয়তে ব্যবসা করে যাচ্ছে মেসার্স একরাম স্টোর নামে প্রতিষ্ঠান সে নিয়ে প্রশ্ন অভিযোগকারীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর বাজারে খোলা ট্রাকে  টিসিবির পণ্য বিক্রি করছে মেসার্স একরাম স্টোর নামের প্রতিষ্ঠান। বিক্রয়ের একপর্যায়ে ৩৯৭ টি পণ্য বিক্রিয় করা শেষ হলে ট্রাকে আর কোন পন্য থাকে না সেখানে ১০৩ টি পণ্য কম রয়েছে। পণ্য সংখ্যায় কম হওয়ায় একরাম স্টোর তার লোকদের সাথে লোক দেখানো তোড়জোড় শুরু করে। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে গ্রাহক।

‎ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ সূত্রে জানা গেছে, একটা ট্রাকে ৫০০ জনের পণ্য, তার মানে ২.৫ টন পণ্য থাকে। একজন ট্যাগ অফিসারের তত্ত্বাবধানে উক্ত পণ্য বিতরণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুরের ডাল। এ প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ করে।

কিন্তু ঐ ডিলার কম পণ্য বিক্রি করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে। বিক্রয় শুরুর পূর্বে তত্ত্বাবধায়ককে ৫০০ জনের পণ্য রয়েছে বলে অবহিত করেন।

পণ্য বিতরণে দায়িত্বে থাকা ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের (জন্মনিবন্ধন ) ট্যাগ অফিসার ও মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের খামার ব্যাবস্থাপক মোস্তাকিম বিল্লাহ জানান, আমি ডিলারকে কয়টি প্যাকেট নিয়ে আসছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় ৫০০ টি প্যাকেট নিয়ে আসে কিন্তু পণ্য বিতরণ করতে গেলে দেখি ৩৯৭ টি প্যাকেট রয়েছে। আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‎পন্য নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা ইমাম হোসেন বলেন, আমাদের দেশ কবে পরিবর্তন হবে,এখনো এ চোরদের কিভাবে এসব পণ্য বিক্রি করার অনুমতি দেয়া হয়। ৫০০ প্যাকেট এর মধ্যে ১০৩ টি প্যাকেট নাই। এদেশের দূর্নীতি অনিয়ম কখন থামবে আর !

‎অভিযুক্ত মেসার্স একরাম স্টোর এর মালিক একরামুল হক বলেন, ভুল স্বীকার করে তিনি বলেন পণ্য লেবার তুলছে। এটা আমার লোকদের ভুল হয়েছে। তবে ১০৩ টি এত প্যাকেট কিভাবে কম হয় জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।

‎ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম-পরিচালক (অফিস প্রধান) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ট্যাগ অফিসার আর ইউনো  তার বিরুদ্ধে  লিখিত অভিযোগ জানালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রামগড়ে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ

মিরসরাইয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ডিলারের দূর্নীতি, গ্রাহকদের ক্ষোভ

Update Time : 06:25:58 pm, Monday, 17 November 2025

চট্টগ্রামের ‎মিরসরাইয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ডিলারের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫০০ জনের পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও ৩৯৭ জনকে পণ্য দিয়ে বিক্রি শেষ করে গ্রাহকদের পণ্য না দেয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। একই ডিলারের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক পত্রিকায় অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। তারপরও কিভাবে বহাল তবিয়তে ব্যবসা করে যাচ্ছে মেসার্স একরাম স্টোর নামে প্রতিষ্ঠান সে নিয়ে প্রশ্ন অভিযোগকারীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর বাজারে খোলা ট্রাকে  টিসিবির পণ্য বিক্রি করছে মেসার্স একরাম স্টোর নামের প্রতিষ্ঠান। বিক্রয়ের একপর্যায়ে ৩৯৭ টি পণ্য বিক্রিয় করা শেষ হলে ট্রাকে আর কোন পন্য থাকে না সেখানে ১০৩ টি পণ্য কম রয়েছে। পণ্য সংখ্যায় কম হওয়ায় একরাম স্টোর তার লোকদের সাথে লোক দেখানো তোড়জোড় শুরু করে। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে গ্রাহক।

‎ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ সূত্রে জানা গেছে, একটা ট্রাকে ৫০০ জনের পণ্য, তার মানে ২.৫ টন পণ্য থাকে। একজন ট্যাগ অফিসারের তত্ত্বাবধানে উক্ত পণ্য বিতরণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুরের ডাল। এ প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ করে।

কিন্তু ঐ ডিলার কম পণ্য বিক্রি করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে। বিক্রয় শুরুর পূর্বে তত্ত্বাবধায়ককে ৫০০ জনের পণ্য রয়েছে বলে অবহিত করেন।

পণ্য বিতরণে দায়িত্বে থাকা ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের (জন্মনিবন্ধন ) ট্যাগ অফিসার ও মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের খামার ব্যাবস্থাপক মোস্তাকিম বিল্লাহ জানান, আমি ডিলারকে কয়টি প্যাকেট নিয়ে আসছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় ৫০০ টি প্যাকেট নিয়ে আসে কিন্তু পণ্য বিতরণ করতে গেলে দেখি ৩৯৭ টি প্যাকেট রয়েছে। আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‎পন্য নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা ইমাম হোসেন বলেন, আমাদের দেশ কবে পরিবর্তন হবে,এখনো এ চোরদের কিভাবে এসব পণ্য বিক্রি করার অনুমতি দেয়া হয়। ৫০০ প্যাকেট এর মধ্যে ১০৩ টি প্যাকেট নাই। এদেশের দূর্নীতি অনিয়ম কখন থামবে আর !

‎অভিযুক্ত মেসার্স একরাম স্টোর এর মালিক একরামুল হক বলেন, ভুল স্বীকার করে তিনি বলেন পণ্য লেবার তুলছে। এটা আমার লোকদের ভুল হয়েছে। তবে ১০৩ টি এত প্যাকেট কিভাবে কম হয় জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।

‎ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম-পরিচালক (অফিস প্রধান) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ট্যাগ অফিসার আর ইউনো  তার বিরুদ্ধে  লিখিত অভিযোগ জানালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।