চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ভারতকে দেয়া ৯০০ একর জমির বরাদ্দ বাতিল চেয়েছে মিরসরাই সচেতন নাগরিক সমাজ। এসময় পরিবেশ বিনষ্ট করে উন্নয়ন না করাসহ ১০টি দাবি উপস্থাপন করে তারা। মিরসরাই সচেতন সমাজ, পরিবেশ সংরক্ষণ সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীর ব্যানাওে কথা এই সংবাদ সম্মেলন সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিতভাবে দাবিগুলো তুলে ধরেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পরিকল্পিত নগরায়ণ বাস্তবায়নে ‘মিরসরাই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ এমডিএ গঠন করা। সুপার ডাইকের পশ্চিমে জেগে উঠা চরে সমগ্র কোস্টাল এরিয়ায় আবার ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট তৈরি করা। বর্তমানে অক্ষত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট যেটি শিল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়নি সেটি পরিপূর্ণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং অবশিষ্ট মায়া হরিণের আবাসস্থল হিসেবে অঞ্চলটিকে ঘোষণা করা। নতুন করে আর কোনো কৃষি জমি অধিগ্রহণ না করা। মাস্টারপ্ল্যানে প্রস্তাবিত জোন ৯ ও ১০ প্রস্তাবিত আবাসনসহ অন্য প্রকল্প বাতিল করে সেখানে কৃষি জমি ও ওয়াটার রিটেনশন এরিয়া হিসেবে ঘোষণা ও সংরক্ষণ করা। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী প্রস্তাবিত প্রতিটি রাস্তার দু’পাশে কৃত্রিম খাল খনন করতে হবে এবং অতিসত্বর তা বাস্তবায়ন করতে করা।
এছাড়া পাশের দেশ ভারতকে এককভাবে দেয়া ৯০০ একরের প্লটটি অতিসত্বর বাতিল করতে করা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মিরসরাইয়ের জনশক্তিকে কর্মসংস্থান উপলক্ষে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগে ব্যবস্থাকল্পে কর্মসূচি গ্রহণ করা। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রাকৃতিক খালের পাশাপাশি কৃত্রিম খাল খনন করতে হবে। যা আকস্মিক বন্যা থেকে মিরসরাইবাসীকে মুক্ত করে।
শিল্প কারখানায় চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় মিরসরাইয়ের নাগরিকদের জন্য ২০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করা। সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর, নজরুল গবেষক ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির নুরুল করিম, অপকার নির্বাহী পরিচালক আলমগীর হোসেন, নিজামপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, সাবেক সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইন, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মো: আশরাফ উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহ মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন চৌধুরী।