চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ফেনী নদীর ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড জয়পুর পূর্ব জোয়ার এলাকায় রাতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ১২ টা নাগাদ ফেনী নদীতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পশ্চিম জোয়ার ও জয়পুর পূর্ব জোয়ার অংশে প্রতিদিন অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে। চর কাটা নিয়ে পশ্চিম জোয়ার এলাকায় গোলাগুলি হয় দু’পক্ষের মধ্যে। একপর্যায়ে একপক্ষের ধাওয়া খেয়ে একটি কাটার জয়পুর পূর্ব জোয়ার অংশে তুলে দেন। এবং এলোপাথাড়ি রকেট ল্যান্সার ছুড়তে থাকেন। প্রায় ৮-১০ টি রকেট ল্যান্সার ঐ গ্রামের বসতঘর, পুকুর ও রাস্তায় পড়ে। এতে সাইদুল ইসলাম বাপ্পীর বসতঘরে আগুন লাগে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। এরপর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে কাটারটি নদীতে ডুবিয়ে পেলেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত কাটারটি ভূঁইয়া সিন্ডিকেটের। ঐ সিন্ডিকেট থেকে স্থানীয় যুবদল নেতা নাজিম, হেদায়েত, শাখাওয়াত, রানা সহ কয়েকজনের নেতৃত্বে রাতভর চলে চর কেটে বালু উত্তোলন।
কাটার উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ঐ সিন্ডিকেটের লোক মেহেদী হাসান বলেন, আপনার কিছু জানার প্রয়োজন হলে বারইয়ারহাট অফিসে এসে জেনে নেন। আমি এমনিতে ঝামেলায় আছি বলে ফোন বন্ধ করে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন ও যুবদল নেতা নাজিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে রাতভর অন্যের চর কাটা হয়। ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না।
এব্যাপরে মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বলেন, দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। অপরাধীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। আমরা শীঘ্রই অবৈধ বালু উত্তোলন ও নদীর অংশে চর কাটার বিরুদ্ধে নদীতে অভিযান করবো।