চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হয়েছে। এসময় দলীয় কর্মসূচীতে বাধা প্রাপ্ত হয়েছেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক ও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে করেরহাট বাজারে লিফলেট প্রদানের সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা তাকে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন দৈনিক মানবকন্ঠ ও চ্যানেল এস এর উপজেলা প্রতিনিধি, মিরসরাই উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও দৈনিক ইনকিলাবের মিরসরাই উপজেলা প্রতিনিধি ইমাম হোসেন। হামলাকালে তাদের ‘চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান’ বলে মিছিল দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সমগ্র মিরসরাইব্যাপী পদযাত্রা ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগের অংশ হিসেবে বুধবার সকালে করেরহাটে আমার গণসংযোগ কর্মসূচি ছিল। এর আগে আমি বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাই। আমার সকল গণসংযোগে বিপুল জনসম্পৃক্তকায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একদল বিপথগামী ও বিএনপি থেকে বহিস্কৃতদের অনুসারীরা করেরহাটে আমার শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে বাধা দেয় এবং এক পর্যায়ে হামলা করে।
তিনি আরও বলেন, করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ইয়াসিন মিজান ও সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জহির উদ্দিন বাবলুর নেতৃত্বে আমার শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ ও দেশনায়ক তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণকালে তারা হামলা করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে করেরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহির উদ্দিন বাবলু বলেন, করেরহাটে প্রতি হাট বারে আমরা ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করে থাকি। বুধবার তারই অংশ হিসেবে আমরা গণসংযোগ করতে গেলে শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর মুখোমুখি হই। এতে সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে। হামলার বিষয়টি সত্য নয়। এবিষ সাংবাদিক নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা দায়িত্ব পালনকালে ভিডিও করার সময় মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল হালিম বলেন, ঘটনা শুনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।