চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গলায় দড়ি পেঁচানো এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত বৃদ্ধার নাম সবুরা খাতুন (৭০)। তিনি উপজেলার পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের মৃত মাওলা বক্সের স্ত্রী।
শনিবার (১ মার্চ) সকাল ১০ টায় খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের চেয়ারম্যান বাংলো এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত বৃদ্ধার ছেলে মো. ওবায়দুল হক বলেন, আমরা এক ভাই দুই বোন। আমার মা বেশ কয়েক বছর ধরে পূর্ব খৈয়াছড়া এলাকায় আমার ছোট বোন নাছিমা আক্তারের বাড়িতে থাকতেন। নাছিমার স্বামী মোবারক হোসেন (৪০) মাদকাসক্ত। তার বাড়ি উপজেলার ১৪ নং হাইতকান্দি ইউনিয়নের মধ্যম করুয়া এলাকায় হলেও সে পূর্ব খৈয়াছড়ার পাহাড়ি এলাকায় বন বিভাগের জায়গায় বানানো আমার বোনের বাড়িতে থাকতো। এলাকায় ছিচকে চুরি ও মাদকাসক্তির কারণে বেশ কয়েকবার তাকে এখান থেকে বিতাড়িত করে গ্রামের লোকজন। গত দুই মাস আগে তার ছেলেদের অনুরোধে আবার এলাকায় আসার সুযোগ পায় সে। কিন্তু এখানে আসার পর থেকে আবারও মাদকের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে মোবারক। এ নিয়ে ঘরে আমার বোন ও মায়ের সাথে প্রায় ঝগড়াঝাঁটি হতো তার। মাদকাসক্তি ও ঘরের মানুষদের সাথে ঝামেলার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমার মায়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর জেরে শুক্রবার বিকালে কোন এক সময় বাড়ির বাইরে থেকে ধরে আমার মাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে হত্যা করে পাশের একটি ঝোপে ফেলে যায়।
এ সময় আমার মায়ের কানে ও গলায় থাকা সোনার গহনাগুলো নিয়ে যায় সে। পরে রাত দশটার দিকে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে আমার এক প্রতিবেশীর ফোনে আমার মাকে হত্যা করার বিষয়টি জানায় সে। এবং আমাদের পরিবারের আরো লোকজনকে হত্যা করার হুমকি দেয়। পরে রাতভর খুঁজে শনিবার ভোরে বাড়ির পাশের একটি ঝোপে আমার মায়ের লাশ দেখতে পাই আমরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে সকালে এসে তারা লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আমার মাকে খুনের ঘটনায় ছোট বোনের জামাই মোবারকের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, পূর্ব খৈয়াছড়া এলাকায় গলায় দড়ি পেঁচিয়ে সবুরা খাতুন নামের এক বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি আমরা। এই ঘটনায় নিহত সবুরা খাতুনের ছেলে ওবায়দুল হক মোবারক হোসেনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা হত্যার সাথে যুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে মাঠে কাজ করছি।