চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক শিক্ষা ক্যাডারের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে পুলিশের কোন সাহায্য না পেয়ে বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম চিপ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং -১৩০/২০২৫) করেছেন ভুক্তভোগি সাবেক মহিলা ইউপি মেম্বার শামীমা আক্তার সাথি। মামলায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষা ক্যাডারের নাম ছালাউদ্দিন সোহেল (৪০)। তিনি মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড উত্তর তালবাড়িয়া এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মিরসরাইয়ের পার্ক ইন রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি সাবেক মহিলা ইউিসি সদস্য শামীমা আক্তার সাথি ও তার ব্যবসায়ি স্বামী আবু আহম্মদ, উপম্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে শামীমা আক্তার জানান, তিনি একজন সাবেক ইউপি সদস্য এবং অভিযুক্ত শিক্ষক ক্যাডার সালাউদ্দিন সোহেল একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক তদবিরে তিনি ৩০তম শিক্ষা ক্যাডার নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ও একজন বিসিএস ক্যাডার হওয়ায় তার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত ১৭ বছর বিভিন্ন ভাবে তার উপর জুলুম নির্যাতন করে আসছেন। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল শনিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে প্রথমে শামীমা আক্তার সাথির চুল ধরে মাটিতে ফেলে গায়ের ওপর উঠে মুখ ও গলা চেপে শ্বাস রোধ করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে এই শিক্ষা ক্যাডার। স্ত্রীকে হামলা থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তার ব্যাবসায়ী স্বামী আবু আহম্মদের উপর ধারালো বটি দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে শিক্ষাক্যাডার সালাউদ্দিন সোহেল ও তার মা মনোয়ারা বেগম (৬০)। হামলার ঘটনায় আহত শামীমা আক্তার ও তার স্বামী আবু আহম্মদ স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা পরবর্তী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসা শেষে মিরসরাই থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করতে যাই কিন্তু মিরসরাই থানা পুলিশ ওই বিসিএস ক্যডারের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে মামলা ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ফলে বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে আদালতের সরনাপন্ন হয়ে চট্টগ্রাম চিপজুড়িশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার ছালাউদ্দিন সোহেল জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পুন্ন উদ্দেশ্য মুলক, হেয় প্রতিপন্ন করা ও চাকরিতে সমস্যা সৃষ্টি করার একটা কুপরিকল্পনা মাত্র। শামীমা আক্তার একজন আওয়ামী ইউপি সদস্য। তার রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে সে গত শনিবার বাড়ির চলাচলের রাস্তায় কাঁটা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চাইলে প্রতিবাদ করলে তারা স্বামী-স্ত্রাী মিলে আমার উপর হামলা করে।
মিরসরাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছি। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।