চট্টগ্রাম 11:17 pm, Tuesday, 16 December 2025

মিরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিল জামায়াত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিল জামায়াতে ইসলামী মহান বিজয় দিবস’২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণ সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মিরসরাই উপজেলা ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মিরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও মিরসরাই আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান।

মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নুরুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আনোয়ারুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, মিরসরাই পৌরসভা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, উপজেলা বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মিরসরাই থানা শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলাম, খৈয়াছরা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি হাফেজ একরামুল হক, ইসলামী ছাত্রশিবির মিরসরাই উপজেলা শাখার সভাপতি সাকিব হোসেন, শহর শাখার সভাপতি শরীফুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা প্রমুখ।

সবশেষে মিরসরাই উপজেলার ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও মিরসরাই আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারিনি। আমরা বারবার হোঁচট খাচ্ছি, আমরা স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষ নিয়ে ভাগাভাগি করছি। একেকজন একেক সময়ে স্বাধীনতার সোল এজেন্ট দাবি করছে। কিন্তু ঘটনা পর্যালোচনা দেখা যায়, তাদের অনেক তৎপরতা স্বাধীনতা এবং দেশের বিরুদ্ধে। যদি আপনার তৎপরতায় স্বাধীনতার পক্ষে প্রমাণিত না হয়, তাহলে আপনি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে পারেন না। দেশ স্বাধীন হয়েছে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য।’

অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে যারা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল না, যারা লড়াইয়ের সাথে জড়িত ছিল না, তাদের নেতারা বলেছিল এই যুদ্ধের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত না, এটা ছাত্রদের আন্দোলন। তারা কিন্তু এখন আস্তে আস্তে সবকিছু দখল করা শুরু করে দিয়েছে। টেম্প্যু স্ট্যান্ড দখল করেছে। পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসীরা বিভিন্ন ফলমূল নিয়ে সমতলে নিয়ে আসে। তারা মানুষের কাছে বিক্রি করার জন্য ছোট ছোট খাঁচায় রেখে বিক্রি করে। প্রতিটির খাঁচার জন্য নাকি ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় স্বাধীনতার হত্যাকারীদেরকে।’

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর যারা দখলদারিত্ব করেছে, জোর করে চাঁদা নিয়েছে, বালু মহাল দখল করেছে, মৎস্য প্রকল্প দখল করেছেন, বাজারের ইজারা পাওয়ার পরও জোর করে ৪০-৩০% পাসেন্ট নিয়েছেন, তারাই হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী। এই নির্বাচনে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে বিএনপির শোভাযাত্রা 

মিরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিল জামায়াত

Update Time : 11:14:31 pm, Tuesday, 16 December 2025

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিল জামায়াতে ইসলামী মহান বিজয় দিবস’২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণ সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মিরসরাই উপজেলা ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মিরসরাই সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও মিরসরাই আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান।

মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নুরুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আনোয়ারুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, মিরসরাই পৌরসভা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, উপজেলা বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মিরসরাই থানা শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলাম, খৈয়াছরা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি হাফেজ একরামুল হক, ইসলামী ছাত্রশিবির মিরসরাই উপজেলা শাখার সভাপতি সাকিব হোসেন, শহর শাখার সভাপতি শরীফুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদা প্রমুখ।

সবশেষে মিরসরাই উপজেলার ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও মিরসরাই আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারিনি। আমরা বারবার হোঁচট খাচ্ছি, আমরা স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষ নিয়ে ভাগাভাগি করছি। একেকজন একেক সময়ে স্বাধীনতার সোল এজেন্ট দাবি করছে। কিন্তু ঘটনা পর্যালোচনা দেখা যায়, তাদের অনেক তৎপরতা স্বাধীনতা এবং দেশের বিরুদ্ধে। যদি আপনার তৎপরতায় স্বাধীনতার পক্ষে প্রমাণিত না হয়, তাহলে আপনি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে পারেন না। দেশ স্বাধীন হয়েছে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য।’

অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে যারা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল না, যারা লড়াইয়ের সাথে জড়িত ছিল না, তাদের নেতারা বলেছিল এই যুদ্ধের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত না, এটা ছাত্রদের আন্দোলন। তারা কিন্তু এখন আস্তে আস্তে সবকিছু দখল করা শুরু করে দিয়েছে। টেম্প্যু স্ট্যান্ড দখল করেছে। পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসীরা বিভিন্ন ফলমূল নিয়ে সমতলে নিয়ে আসে। তারা মানুষের কাছে বিক্রি করার জন্য ছোট ছোট খাঁচায় রেখে বিক্রি করে। প্রতিটির খাঁচার জন্য নাকি ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় স্বাধীনতার হত্যাকারীদেরকে।’

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর যারা দখলদারিত্ব করেছে, জোর করে চাঁদা নিয়েছে, বালু মহাল দখল করেছে, মৎস্য প্রকল্প দখল করেছেন, বাজারের ইজারা পাওয়ার পরও জোর করে ৪০-৩০% পাসেন্ট নিয়েছেন, তারাই হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী। এই নির্বাচনে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে