চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে অঙ্গহানির প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে যুবদল কর্মী মঞ্জুর হোসেন সুমন।
সোমবার ১৪ জুলাই বিকালে বারইয়ারহাট পৌরসভাস্থ নিজ বাড়ীতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তার বাবা মুজিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সুমন বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমি বর্তমানে বারইয়ারহাট পৌরসভার আহবায়ক মাঈন উদ্দিন লিটন ভাইয়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করি। বিগত ২৪ মার্চ বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটির লোকজন গত ২৫ মার্চ রাত ৮ টায় লিটনের বাড়ীতে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। করে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে কোন কিছুর বিনিময়ে শুভেচ্ছা মিছিল করতে হবে। বাবলু মিয়াজী, জসিম কমিশনার, সদস্য সচিব দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসে। তাদের নিয়ে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সকালে মাঈন উদ্দিন লিটনের বাড়ী থেকে মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে আমাকে বাড়ী থেকে বাবলু, জসিম কমিশার, আনোয়ার এবং ইমন ডেকে নিয়ে যায়। মিছিল চলাকালীন আমাকে অতর্কিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবলু মিয়াজী ও ইমন আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে নাড়ি ভুঁড়ি বের দেয়। ইমন ডান পায়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে চলে যায়। পরে আমার স্বজনরা উদ্ধার করে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসায় আমার ডান পা কেটে পেলায় আমি সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করি। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটার আঘাতে কষ্ট ভোগ করছি। বর্তমানে আমি বাড়ীতে এসে এই সংবাদ সম্মেলন করে সেদিন আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। যাতে আমার জাতীয়তাবাদী দলের নেতারা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারে। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রত্যেকের উপযুক্ত বিচার দাবী করছি রাষ্ট্রের কাছে।
এবিষয়ে জামতে চাইলে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহবায়ক মাঈন উদ্দিন লিটন বলেন, সুৃমন আমাদের অনুসারী ছিল। সে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে। যার স্কীকারোক্তি মূলক ভিডিও আমাদের কাছে আছে। সে মোটা অংকের টাকায় প্রতিপক্ষের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ওর অভিযোগ সঠিক নয়। আমি তাঁকে ঢাকায় হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছি।