চট্টগ্রামর মিরসরাইয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোশের্দ এলিটের বাড়িতে থেকে অবরুদ্ধ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খন্দকারকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ।
শনিবার (১৭ আগষ্ট) চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও তার ছেলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাড়ি ‘ইউসুফ কুটির অবস্থান নেয় বিএনপির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহবায়ক সাবেক সাংসদ গোলাম আকবর খন্দকার।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর থেকে মিরসরাইয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নয়দুয়ারি এলাকায় ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও তার বাড়ি ঘিরে রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী গাড়িতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে।
বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান , উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজামসহ একদল নেতাকর্মী খোন্দকারের সাথে দেখা করতে গেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, আউয়াল চৌধুরী সালাউদ্দিন চেয়ারম্যানসহ আগে থেকে বাড়িতে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের সাথে হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি হট্টগোল হয়। চরম উত্তেজনায় অবস্থায় রক্তারক্তি আশংকা দেখা দিলে বিকাল চারটায় মিরসরাইয়ে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবরুদ্ধ বিএনপির নেতাদের উদ্ধার করে উপজেলা সদরে নিয়ে যায়।
এব্যাপরে মিরসরাই বিএনপির সদস্য সচিব বলেন গত ১৫ বছর এই যুবলীগ নেতার বাড়ি টর্চার সেল ছিলো সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতন করতো নগদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ইউসুফের ছেলে এলিট। সেখানে বিএনপি নেতা অবস্থান অর্থ আওয়ামী লীগের দালালি করা।
এব্যাপরে গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, আমি ঢাকা যাওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফের বাড়িতে উঠেছি। তারা আমাকে কখনও বলেনি টর্চার সেলের কথা। এই বড়িতে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা বিঘ্রেডিয়ার হান্নান শাহ, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর রায় আসছিল। তখন এসব কথা উঠেনি। দলের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।