চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তার ছেলে সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান রুহেল, বারইয়ারহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম খোকন, যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল যুবলীগ নেতা আবু নাঈম সহ আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে যুবদল নেতার উপর হামলার অপরাধে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ জিপসন বাদী হয়ে রবিবার (৬ অক্টোবর) জোরারগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০২২ সালে এর যুবদল নেতাকে হত্যার চেষ্টায় হামলার অপরাধে মামলাটি করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সহ-সভাপতি, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন (৮২) তার ছেলে সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান রুহেল (৫৫) চট্টগ্রাম -১, সাবেক বারইয়ার হাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম খোকন (৫২), মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া (৩২) যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার সোহেল (৩৩) মেয়র খোকনের সেকেন্ড ইন কমান্ড অশোক কুমার সেন (৪৫) সহ ৩০ জন। এছাড়া অজ্ঞাত নামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহারের বিবরনে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ ই এপ্রিল যুবদল নেতা ইফতেখার হাসান জিপসন পারিবারিক কাজ সেরে বিকাল ৩টার সময় বারৈয়ার হাট বাজার থেকে নিজ বাড়ির পথে অটোরিকশা যোগে রওনা হন। তার অটোরিকশা টি খান সিটি সেন্টারের পশ্চিম পাশে কাঁচা রাস্তার উপর পৌছালে সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার গতিরোধ করেন। সন্ত্রাসীরা তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে মেরে মারাত্মক আহত করে। পরবর্তীতে তাকে মোটরসাইকেলে করে অপহরণ করে একটি কাঠের ফার্নিচার দোকনে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে দুই পা থেঁতলে দেয়া হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ, এমপি মাহবুবুর রহমান রুহেল, মেয়র রেজাউকরিম খোকনের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখেন। মামলার বাদি উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হাসান জিপসন বলেন, মামলার এজাহারে উল্লেসিত আসামীদের উদ্দেশ্য ছিল আমাকে হত্যা করার। তাদের হাত পা ধরে জীবন ভিক্ষা চাওয়ায় পরেও তারা আমাকে গাছ, হকস্টিক, ধারালো ছুরি দিয়ে এলাপাতাড়ি আঘাত করেছে ও কুপিয়ে আহত করেছে। হাতুড়ি দিয়ে পা থেঁতলে দিয়েছে। তাদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাইলে তারা বলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান রুহেল ও মেয়র রেজাউল করিম খোকনের নির্দেশ তোকে ছাড়া যাবে না। তোকে মেরে ফেলতে বলা হয়েছে। ঘটনার পর তারা আমাকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা আমাকে মৃত ভেবে ফেলা যাওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় দীর্ঘ ১ বছর চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারি নাই। তাই এখন উপযুক্ত বিচারের দাবিতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এটিএম সিফাতুর মাজদার জানান, ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল যুবদল নেতা জিপসনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। একজন উপপরিদর্শকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।