চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১০ গ্রেড সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক সরকারি শিক্ষকেরা শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি ও ১০ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। রোববার (৭ অক্টোবর ২০২৪) বিকাল ৪ ঘটিকার সময় আয়োজিত মানববন্ধনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে মিরসরাই পৌর সদরের মিরসরাই সরকারী পাইলট স্কুল এবং মিরসরাই লতিফিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়কের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষকরা ব্যানার, বিভিন্ন ফেস্টুন হাতে নিয়ে দাঁড়ান। সহকারি শিক্ষক শেখ ফরিদ ও নাঈম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মো. হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আশরাফুল আরেফিন, মো. হারুন অর রশীদ, ফাহমিদা শিউলী, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আবু কাউছার, আলাউদ্দিন আল আজাদ, মো. নুরুজ্জামান, তানভীর হোসেন, বৈষম্য বিরোধী প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের গ্রুপ এ্যাডমিন গাজী এসএম নুরুল আহাদ।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম বেতন গ্রেড (২য় বিভাগ) এ স্নাতক/সমমান নিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন। যেখানে একই ক্যারিকুলাম, সিলেবাস ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা- স্নাতক (দ্বিতীয় শ্রেণি), তাদের বেতন গ্রেড- ১০ম। কিন্তু স্নাতক/সমমান নিয়ে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, এইচএসসি পাশে নার্স নিয়োগ (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং), উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পদ (৪ বছর কৃষি ডিপ্লোমা), ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে বেতন গ্রেড- ১০ম ও ৯ম নিয়ে চাকুরী করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (২য় বিভাগ) সমমান হলেও ১০ম গ্রেড পেতে শুধুমাত্র আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপস্থিত সকল শিক্ষকগন ‘এক দফা’ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন। তারা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত দাবি বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান। মানববন্ধনের পর ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১০ গ্রেড সমন্বয় পরিষদ’ স্মারকলিপি প্রদান করে, ‘এক দফা’র অনুকুলে শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।