চট্টগ্রাম 10:55 pm, Thursday, 16 October 2025

মিরসরাইয়ে ৪ পরিবারে ডাকাতি ও ধর্ষণের চেষ্টা 

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় হিংঙ্গুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ  আজমনগর গ্রামে প্রবাসী মন্নান মিয়া বাড়ি ও আবদুল মানিক এর বাড়িতে দুর্ধর্ষ  ডাকাতির ঘটনা ঘটে।  মন্নান মিয়ার বাড়িতে তিন পরিবারে বেঁধে রেখে  ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এই সময় ডাকাত দল  তিন পরিবারের স্বর্ণের প্রায় ২ ভরি গয়না, নগদ প্রায় ১ লক্ষ  টাকাসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওই ঘরের  বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার  (১৬ অক্টোবর ) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে  পরপর দুই বাড়িতে  ডাকাতির করে চলে যায়।

ভুক্তভোগী রাশেদা আক্তার বলেন, ওরা রাত দেড় টায় ৭-৮ জন পাকের ঘর দিয়ে জানালার রড় কেটে ডুকে পরিবারের সবাইকে বেঁধে রেখে মারধর করার পাশাপাশি বিভিন্ন খারাপ ব্যবহার ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এসময় আমরা নিরুপায় হয়ে সব দিয়ে দিই তারপরও মারধর করে সব নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা আমাদের বাড়ির তিন পরিবারের সব তছনছ করে দিয়ে যায়।

একই দিন  একই এলাকায় ভোর ৪ টায় আবদুল মানিক মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা মনির আহমেদ (৭০) জানায় আমি ভোর ৪ টায় নামাজ পড়ার জন্য উঠতে গেলে দেখি দরজা বাড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ৮-১০ জন্য ধারালো চুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘরে ডুকে আমাকে ও আমার মেয়েকে বেঁধে ফেলে সব নিয়ে যায়। এসময় তারা আমার মেয়ের দিকে খারাপ চিন্তা করে তার উপর ঝাপিয়ে পড়তে গেলে আমি চিৎকার চেচামেচি করলে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

এই বিষয়ে  জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, ঘটনা শুনে থানার  দুইজন অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছে, ঘটনা তদন্ত করে এর পিছনে কে বা কারা জড়িত  তার জন্য আমরা কাজ করছি। আসামী যে হোক আইনের আওতায় আনা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে যুবদের উদ্ভাবনী চিন্তা, “টেকসই রূপদানের লক্ষ্যে যুব প্রত্যাশা” সম্পর্কিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে ৪ পরিবারে ডাকাতি ও ধর্ষণের চেষ্টা 

Update Time : 07:54:36 pm, Thursday, 16 October 2025

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় হিংঙ্গুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ  আজমনগর গ্রামে প্রবাসী মন্নান মিয়া বাড়ি ও আবদুল মানিক এর বাড়িতে দুর্ধর্ষ  ডাকাতির ঘটনা ঘটে।  মন্নান মিয়ার বাড়িতে তিন পরিবারে বেঁধে রেখে  ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এই সময় ডাকাত দল  তিন পরিবারের স্বর্ণের প্রায় ২ ভরি গয়না, নগদ প্রায় ১ লক্ষ  টাকাসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওই ঘরের  বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার  (১৬ অক্টোবর ) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে  পরপর দুই বাড়িতে  ডাকাতির করে চলে যায়।

ভুক্তভোগী রাশেদা আক্তার বলেন, ওরা রাত দেড় টায় ৭-৮ জন পাকের ঘর দিয়ে জানালার রড় কেটে ডুকে পরিবারের সবাইকে বেঁধে রেখে মারধর করার পাশাপাশি বিভিন্ন খারাপ ব্যবহার ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এসময় আমরা নিরুপায় হয়ে সব দিয়ে দিই তারপরও মারধর করে সব নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা আমাদের বাড়ির তিন পরিবারের সব তছনছ করে দিয়ে যায়।

একই দিন  একই এলাকায় ভোর ৪ টায় আবদুল মানিক মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা মনির আহমেদ (৭০) জানায় আমি ভোর ৪ টায় নামাজ পড়ার জন্য উঠতে গেলে দেখি দরজা বাড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ৮-১০ জন্য ধারালো চুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘরে ডুকে আমাকে ও আমার মেয়েকে বেঁধে ফেলে সব নিয়ে যায়। এসময় তারা আমার মেয়ের দিকে খারাপ চিন্তা করে তার উপর ঝাপিয়ে পড়তে গেলে আমি চিৎকার চেচামেচি করলে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

এই বিষয়ে  জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, ঘটনা শুনে থানার  দুইজন অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছে, ঘটনা তদন্ত করে এর পিছনে কে বা কারা জড়িত  তার জন্য আমরা কাজ করছি। আসামী যে হোক আইনের আওতায় আনা হবে।