চট্টগ্রাম 10:22 am, Wednesday, 27 August 2025

মীরসরাই জামায়াতের লগি বৈঠার তান্ডবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত

২৮ অক্টোবার, ২০০৬ এ ঢাকা সহ সারা দেশে তৎকালিন সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামীলীগ ও তাদের অংগসংগঠনের একদল উশৃঙ্খল, সন্ত্রাসী কর্তৃক লগি-বৈঠার অতর্কিত আক্রমনের এক বিশাল তান্ডব চালায়। দিনে-দুপুরে জনসমক্ষে সাপের মতো এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এতে প্রাণ হারিয়েছিলো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও অংগ সংগঠন তথা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের বহু নেতা কর্মীর। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেদিনের দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবীতে সারাদেশের ন্যায় মীরসরাই উপজেলায়ও বিক্ষোভ ও তৎপরবর্তী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার(২৮অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলা সদরের থানা মসজিদের সামনে থেকে আরম্ভ হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন রাস্তা পদক্ষিণ করে কলেজ রোডের মুখে ওভার ব্রীজের নিচে এসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে এবং ওভার ব্রীজের নিচে পথসভা সম্পন্ন করা হয়। এসময় উপজেলার ( ৯-১৬ ) নং ইউনিয়ন ও মীরসরাই পৌরসভা সহ মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক শাখা কর্তৃক আয়োজিত উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা বাস্তবায়ন করতে আছরের পূর্বেই প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ নেতা কর্মীদের নিয়ে মিছিলে মিছিলে সমাগম হতে থাকেন মীরসরাই উপজেলাস্থ থানা মসজিদের সামনে।
মীরসরাই থানা মসজিদের সামনে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ধরে দক্ষিণ দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায় মীরসরাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা। মীরসরাইয়ের দক্ষিণ পাশের বাইপাস পার হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পশ্চিম পাস ধরে উত্তর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যায় মিছিলিটি এবং মীরসরাইয়ের উত্তরে সুফিয়া রোডের বাইপাস পার হয়ে আবার ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পূর্ব পাশ ধরে মিছিলটি মীরসরাই উপজেলার কলেজ রোডের মুখে ওভার ব্রিজের নিচে এসে শেষ হয়।

এসময় মিছিলের সামনে থেকে নের্তৃত্ব দেন মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব মাওলানা নুরুল কবীর, মীরসরাই পৌরসভা জামায়তের আমীর জনাব মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জনাব মাওলানা মামুন, উপজেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক শফিকুল আলম সিকদার, উপজেলা জামায়াতের বিএম সম্পাদক জনাব মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মীরসরাই উপজেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান / উপজেলা শহর শাখার সভাপতি সাকিবুল হাসান প্রমুখ।

এসময় প্রত্যেকটি মিছিল ও পরবর্তী সভা থেকে ২০০৬ সালে সংগঠিত ন্যাক্কারজনক লগি-বৈঠার হামলার তীব্র প্রতিবাদ এবং তাতে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি গত ১৫ বছরের শাসনামলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন মাঠ পর্যায়ে আবার আগের মতো কোনো ঘটনার জন্ম দিতে আসলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

এ সময় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জনাব মাওলানা মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত তাৎক্ষনিক সংঘটিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীরসরাই পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মীরসরাই উপজেলা আমির জনাব মাওলানা নুরুল কবীর। এসময় বক্তারা ২০০৬ সালের লগি-বৈঠার আক্রমণের শিকার হয়ে অকাতরে প্রাণ দেওয়া ও শহীদ হওয়া প্রিয় কাফেলার ভাইদের স্মরণ করে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন এবং বর্তমান সরকারের প্রতি দ্যর্থহীন ভাষায় উদাত্ত আহ্বান জানান, যেন খুব দ্রুত সে সময়ের এই নেক্কারজনক ঘটনার জন্মদানকারী কুশীলবদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করেন এবং তাদের ওপর যথাযথ শাস্তি বাস্তবায়ন করেন।জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল ও নেতাকর্মীদের আরো এক্টিভ হয়ে কাজ করার নসিহত দেয়ার মাধ্যমে বক্তারা তাদের বক্তব্য শেষ করেন এবং প্রোগ্রাম শেষ হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ

মীরসরাই জামায়াতের লগি বৈঠার তান্ডবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত

Update Time : 05:20:09 pm, Monday, 28 October 2024

২৮ অক্টোবার, ২০০৬ এ ঢাকা সহ সারা দেশে তৎকালিন সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামীলীগ ও তাদের অংগসংগঠনের একদল উশৃঙ্খল, সন্ত্রাসী কর্তৃক লগি-বৈঠার অতর্কিত আক্রমনের এক বিশাল তান্ডব চালায়। দিনে-দুপুরে জনসমক্ষে সাপের মতো এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এতে প্রাণ হারিয়েছিলো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও অংগ সংগঠন তথা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের বহু নেতা কর্মীর। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেদিনের দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবীতে সারাদেশের ন্যায় মীরসরাই উপজেলায়ও বিক্ষোভ ও তৎপরবর্তী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার(২৮অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলা সদরের থানা মসজিদের সামনে থেকে আরম্ভ হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন রাস্তা পদক্ষিণ করে কলেজ রোডের মুখে ওভার ব্রীজের নিচে এসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে এবং ওভার ব্রীজের নিচে পথসভা সম্পন্ন করা হয়। এসময় উপজেলার ( ৯-১৬ ) নং ইউনিয়ন ও মীরসরাই পৌরসভা সহ মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক শাখা কর্তৃক আয়োজিত উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা বাস্তবায়ন করতে আছরের পূর্বেই প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ নেতা কর্মীদের নিয়ে মিছিলে মিছিলে সমাগম হতে থাকেন মীরসরাই উপজেলাস্থ থানা মসজিদের সামনে।
মীরসরাই থানা মসজিদের সামনে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ধরে দক্ষিণ দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায় মীরসরাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা। মীরসরাইয়ের দক্ষিণ পাশের বাইপাস পার হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পশ্চিম পাস ধরে উত্তর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যায় মিছিলিটি এবং মীরসরাইয়ের উত্তরে সুফিয়া রোডের বাইপাস পার হয়ে আবার ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পূর্ব পাশ ধরে মিছিলটি মীরসরাই উপজেলার কলেজ রোডের মুখে ওভার ব্রিজের নিচে এসে শেষ হয়।

এসময় মিছিলের সামনে থেকে নের্তৃত্ব দেন মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমীর জনাব মাওলানা নুরুল কবীর, মীরসরাই পৌরসভা জামায়তের আমীর জনাব মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জনাব মাওলানা মামুন, উপজেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক শফিকুল আলম সিকদার, উপজেলা জামায়াতের বিএম সম্পাদক জনাব মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মীরসরাই উপজেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান / উপজেলা শহর শাখার সভাপতি সাকিবুল হাসান প্রমুখ।

এসময় প্রত্যেকটি মিছিল ও পরবর্তী সভা থেকে ২০০৬ সালে সংগঠিত ন্যাক্কারজনক লগি-বৈঠার হামলার তীব্র প্রতিবাদ এবং তাতে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি গত ১৫ বছরের শাসনামলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন মাঠ পর্যায়ে আবার আগের মতো কোনো ঘটনার জন্ম দিতে আসলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

এ সময় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জনাব মাওলানা মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত তাৎক্ষনিক সংঘটিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীরসরাই পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মাওলানা শিহাব উদ্দিন, মীরসরাই উপজেলা আমির জনাব মাওলানা নুরুল কবীর। এসময় বক্তারা ২০০৬ সালের লগি-বৈঠার আক্রমণের শিকার হয়ে অকাতরে প্রাণ দেওয়া ও শহীদ হওয়া প্রিয় কাফেলার ভাইদের স্মরণ করে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন এবং বর্তমান সরকারের প্রতি দ্যর্থহীন ভাষায় উদাত্ত আহ্বান জানান, যেন খুব দ্রুত সে সময়ের এই নেক্কারজনক ঘটনার জন্মদানকারী কুশীলবদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করেন এবং তাদের ওপর যথাযথ শাস্তি বাস্তবায়ন করেন।জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল ও নেতাকর্মীদের আরো এক্টিভ হয়ে কাজ করার নসিহত দেয়ার মাধ্যমে বক্তারা তাদের বক্তব্য শেষ করেন এবং প্রোগ্রাম শেষ হয়।