চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আমিনুল ইসলাম বলেছেন উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রোগ্রামে গণমাধ্যম কর্মীদের বলা সম্ভব না।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উক্ত উপজেলার স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী উল্লেখিত কর্মকর্তার নিকট মোবাইল ফোনে হালদা নদীতে অভিযানসহ উন্নয়ন ও ব্যবস্থা প্রকল্পের প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ, ৩৩ তম বিসিএস ব্যাচের মো.আমিনুল ইসলাম চলতি বছরের গত তিন মাস পূর্বে হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি উপজেলার নিদিষ্ট কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীদের মৎস্য অফিসের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানালেও প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধিদের অজ্ঞাত কারণে অবহিত করেন না।
এরমধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মার্দাশা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থা প্রকল্প (২য় পর্যায়ে) মৎস্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় আয়োজিত সেমিনারের প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকার কর্মীদের অবহিত করেননি। এছাড়াও হালদা নদীর হাটহাজারী অংশে উপজেলা মৎস্য অফিসের হেঁয়ালিপনার সুযোগে সংশ্লিষ্টদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মৎস্য শিকারীদের পাতানো চর ঘেরা ও ভাসা জাল জব্দের তথ্য নির্দিষ্ট সংবাদকর্মীদের দিয়ে থাকেন।
বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.আমিনুল ইসলাম কুটিল ভাষায় ওই সংবাদকর্মীকে বলেন, ‘আমি কেন আপনাদের তথ্য দিব। আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন না। পরবর্তীতে গত ১৯ তারিখের হালদা নদীর উন্নয়ন ও ব্যবস্থা প্রকল্পের প্রোগ্রামে কেন প্রথম শ্রেণীর গণমাধ্যম কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রোগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের বলা সম্ভব না।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যাপারে তিনি এভাবে বলতে পারেন না। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছেন।